AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

সাহসী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের গল্প


Ekushey Sangbad
ফিচার ডেস্ক
১০:০২ পিএম, ৬ মার্চ, ২০২৩
সাহসী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের গল্প

ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে দেশজুড়ে প্রশংসিত হওয়া আলোচিত ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম। রাজধানীতে অবৈধ ক্যাসিনোতে অভিযান পরিচালনাসহ অসংখ্য অভিযান পরিচালনা করে দেশজুড়ে জনতার মধ্যমনিতে পরিনত হয়েছিলেন কিশোরগঞ্জ জেলা পাকুন্দিয়া উপজেলার বড় বাড়ির এই কৃতী সন্তান।

 

র‌্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকা সময়ে মো. সারওয়ার আলম প্রতিদিনই ঢাকার কোনো না কোনো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, শিল্পকারখানা কিংবা খাবারের দোকানে অভিযান চালিয়েছেন। একই সঙ্গে কিশোরদের মাদকসেবন থেকে শুরু করে রাজধানীতে ঘটা নানান অপরাধ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধেও সমানতালে অভিযান চালিয়েছিলেন তিনি।

 

নিজের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং কাজ নিয়ে প্রতিটি অভিযান চলাকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন আলোচিত ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম। ওই সময় তিনি বলেছেন, আমাদের এইখানে যে কাজগুলো করছি আপনারা জানেন যে আগামী দিনের জন্য আমাদের একটি বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে নিরাপদ খাদ্য। পাশাপাশি ঔষধ এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিরাপদ করা পাশাপাশি সমাজে যে অনিয়মগুলো রয়েছে এগুলোর বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়াটা গুরুত্বপূর্ন বিষয়। এখানে একটি অসুবিধা হচ্ছে যে এই অপরাধের সাথে যারা যুক্ত তারা সমাজের বেশি প্রভাবশালী মানুষ। কিছু রয়েছে যারা ইচ্ছাকৃত ভাবে অপরাধগুলো করেন বা ভেজালগুলো করেন তারা কোন না কোন পাওয়ার স্ট্যাকচারের সাথে লিংক রাখতে চান। তারা তাদের ছত্রছায়ায় কাজ করতে চান সুতরাং এখানেই যখন হাত দিই বা কাজ করতে চাই একধরনের প্রতিকূলতা থাকবেই এটাই স্বাভাবিক আমরা সেটা মাথায় নিয়েই কাজ করি। কারন এই জায়গাটা এমন একটি জায়গা যেখানে কম্প্রমাইজ করার সুযোগ নেই। এই বিষয়ে সরকারের সর্বোচ্চ মহল থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষথেকে সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে তিনি স্পষ্ট বলে দিয়েছেন ভেজালের বিরুদ্ধে অভিযান এবং মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে।

 

নিজের সফলতার মূলমন্ত্র নিয়ে বলেন, সফলতার মূলমন্ত্র হচ্ছে কয়েকটি বিষয়। প্রথমত কমিটমেন্ট, এটি একটি বড় বিষয়। সততা, সিরিয়াসনেস, সিনসিয়ারিটি। যদি কোন কাজে সফল হতে চাই তাহলে প্রথমে একটি প্রতিশ্রুতি থাকতে হবে আমি এটা করতে চাই বা করবো এই ধরনের প্রতিশ্রুতি যদি আপনার না থাকে তাহলে আপনি কখনও সফল হতে পারবেন না। এটা আমরা কেউ পারিনা সহজে। প্রথমত আমি সফল হতে চাই এই কাজটি করতে চাই এই ধরনের প্রতিজ্ঞা বা প্রতিশ্রুতি থাকতে হবে। সেটির ক্ষেত্রে সিনসিয়ারিটি, ডেডিকেশন, ডিভোশন,অনেষ্টলি থাকতে হবে। অসৎভাবে বেশিদূর পর্যন্ত আগানো যায়না। পাশাপাশি কখনও হতাশ হতে নেই যে কোন কাজ করতে গিয়ে হোচট খেলেই বা কোন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হলে পিছপা হয়ে যাওয়া উচিত নয়। কারণ আমরা মনে করি যে সঠিক পথে যারা থাকে যাদের সততা থাকে সিরিয়াসনেস থাকে তাহলে অবশ্যই কাঙ্খিত লক্ষে পৌছাতে পারবো আমরা। একশর মধ্যে একশতে না পৌছালেও নব্বইয়ের উপরে থাকবো বলে আশা করতে পারি।

 

বিসিএস যাদের স্বপ্ন বা বিসিএস যাদের ধ্যান জ্ঞান তাদের উদ্দেশ্য বলেন, কেউ যদি মনে করে বিসিএস’র মাধ্যমে সিভিল সার্জনে আসবে তাহলে তার একটি দীর্ঘ মেয়াদী প্রস্তুতির দরকার আছে। হুট করে দুমাস কিংবা তিন মাসের প্রস্তুতির মাধ্যমে বিসিএস-এ বা সিভিল সার্ভিসে প্রবেশ করাটা মুশকিল। তিনি নিজে যে বিষয়ে পড়েন বা অনার্স করলেন বা মাস্টার্স করলেন সেই বিষয়ের উপর দক্ষতা থাকতে হবে। বিসিএস-এ যে প্রশ্ন গুলো আসে বাংলা থেকে শুরু করে সব বিষয়ে গভীর জ্ঞান থাকতে হবে। আর বিসিএস-এ ধৈর্য্য থাকতে হবে যেহেতু দীর্ঘ সময় ধরে পরীক্ষা হয়।

 

আমাদের এখানে যেটা হযেছে পরীক্ষায় পাশ করার পর পর সবাই চাকরি করতে চায়।  তাহলে একাডেমী পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগেই একটা প্রস্তুতি থাকতে হবে। আমি আসলে ক্যারিয়ার কোন লাইনে গড়তে চাই সেখানে কী কী বিষয়ে যাচাই বাছাই হয় সে বিষয়ে খেয়াল রাখাতে হবে। পাশাপাশি উন্নত নৈতিকতার একজন মানুষ হতে হবে। আমি মনে করি একটি দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা থাকা দরকার পাশাপাশি সেই অনুযায়ী পড়াশোনা করা দরকার। এবং বাংলাদেশের সাধারণ জ্ঞান বা সাধারণ বিষয়গুলোর তার গভীর জ্ঞান থাকতে হবে। আমি মনে করি এটি শুধু বিসিএস পাশ করার জন্য না একজন নাগরিক হিসাবে কিছু মূল ভিত্তি বা মূল বিষয় সম্পর্কে জানা দরকার।

 

জানা গেছে, ক্লাসে ছিল লাজুক ও শান্তশিষ্ট, লেখাপড়ায় ছিল বেশ মনোযোগী। প্রাথমিক স্কুলে ক্লাসের ফাঁকে অন্য সবাই যখন খেলাধুলা আর হইহুল্লোড়ে মেতে উঠত, তখন সে বেশ মনোযোগসহকারে ক্লাসে একা বসে পড়াশোনায় মগ্ন থাকত। পড়াশোনায় বেশ ভালো ও শান্তশিষ্ট স্বভাবের হাওয়ায় শিক্ষকরা তাকে অনেক আদর করতেন। ছোটবেলা থেকে নম্র ও ভদ্র স্বভাবের হওয়ায় পাড়া-প্রতিবেশী সবাই তাকে খুব স্নেহ করতেন এবং খোকা বলে ডাকতেন। কিন্তু কে জানত, লাজুক সেই খোকা হয়ে উঠবেন দেশের আলোচিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট!

 

মো. সারোয়ার আলম ১৯৭৮ সালে ২৮ ডিসেম্বর কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া পৌর সদরের বড় বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। ব্যবসায়ী বোরহান উদ্দিন ও গৃহিণী আমেনা খাতুনের একমাত্র পুত্রসন্তান সারোয়ার আলম। ছয় ভাই-বোনের মধ্যে সবার বড় তিনি। সারওয়ার আলম ২৭তম বিসিএসে ক্যাডার সার্ভিসে যোগদান করেন।

 

এর আগে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণিবিদ্যা বিভাগে পড়াশোনা শেষ করেন। ছয় ভাই বোনের মধ্যে সবার বড় সারওয়ার। সৎ ও মেধাবী কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত পাওয়া সারওয়ার আলম র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নে (র‌্যাব) যোগদানের পর থেকে সব সময় আলোচিত ছিলেন। কর্মদক্ষতা আর নিষ্ঠার পরিচয় দিয়েছেন বহুবার। ব্যক্তিস্বার্থ নয়, বরং তিনি প্রাধান্য দিয়েছেন দেশ ও জনগণের স্বার্থকে। স্বার্থান্বেষী মহল তার কাজে অসন্তুষ্ট থাকলেও জনগণ তাকে অফুরান ভালোবাসা দিয়ে বরণ করে নিয়েছে।

 

তার উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে বিশেষ করে ভেজাল খাদ্য, নকল প্রসাধনী ছাড়াও অবৈধ হাসপাতাল পরিচালনা, মাদকবিরোধী অভিযান এবং আলোচিত ক্যাসিনো অভিযান অন্যতম। ২০১৯ সালে ফকিরাপুলে ক্যাসিনোতে ও যুবলীগ নেতা জি কে শামীমের অফিসে অভিযান ছিল সবচেয়ে আলোচিত। এসব ক্ষেত্রে সামনের সারিতে থেকে অভিযান পরিচালনা করেছেন তিনি।

 

এ ছাড়া ৮ মার্চ দেশে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে কোয়ারেন্টিন ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত, নকল মাস্ক-গ্লাভসের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছেন র‌্যাবের এই সাবেক চৌকস কর্মকর্তা। এ ছাড়া ফার্মগেটে পদচারী-সেতু দিয়ে চলাচল না করে সড়ক পারাপারের ঘটনায় নামমাত্র জরিমানা করে যাত্রীসাধারণকে সচেতন করেন তিনি। কিশোর গ্যাং আটকে অভিযান, কুকুর ও পশুর মেয়াদোত্তীর্ণ ভ্যাকসিন উদ্ধার, নামীদামি হাসপাতালে অভিযান, হজের টিকিট জালিয়াতির বিরুদ্ধে অভিযান, পুরান ঢাকার কেমিকেল অভিযান ও জড়িতদের জেল-জরিমানাসহ অসংখ্য আলোচিত অভিযানে অংশ নিয়ে দেশজুড়ে একনামে পরিচিত হয়ে ওঠেন অপরাধী চক্রের পিলে কাঁপানো সারওয়ার আলম। সর্বশেষ পুরান ঢাকায় হাজী সেলিমের বাড়িতে অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তিনি আরও আলোচনায় আসেন।

 

সারোয়ার আলম বর্তমানে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৮৩ সালে তার শিক্ষাজীবন শুরু হয় বাড়ির পাশের ইসমাইল মেমোরিয়াল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে। ১৯৯৩ সালে পাকুন্দিয়া পাইলট উচ্চবিদ্যালয় (বর্তমান পাকুন্দিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয়) থেকে এসএসসি পরীক্ষায় প্রথম বিভাগ পেয়ে ভর্তি হয় কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল সরকারি কলেজে।

 

১৯৯৫ সালে কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় প্রথম বিভাগ অর্জন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন প্রাণিবিদ্যা বিভাগে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ থেকে ২০০৫ সালে প্রথম শ্রেণিতে স্নাতকোত্তর পাস করেন তিনি। সারওয়ার আলম ২০০৮ সালে ২৭তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়ে যোগ দেন প্রশাসনে।বিশ্ববিদ্যালয়জীবনে নিয়মিত পড়াশোনা করে ভালো ফল করার পাশাপাশি করেছেন টিউশনি। তিনি অস্ট্রেলিয়ার সিডনি থেকে ইনস্টিটিউট অব পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে ডিপ্লোমা ডিগ্রিও অর্জন করেছেন।

 

সারওয়ারের সহপাঠী মো. আবু নোমান জানান, সারওয়ার আলম খোকা আমার ক্লাসমেট ছিল। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত আমরা একসঙ্গে লেখাপড়া করেছি। সে অনেক ভালো ছাত্র ছিল এবং বন্ধুবৎসল। খুবই বিনয়ী। স্যারদের প্রতিও শ্রদ্ধাশীল ও বিনয়ী ছিল।

তার চাচাতো ভাই মো. আল আমিন বলেন, আমার চাচতো ভাই মো. সারওয়ার আলম খোকা। সে ছোটবেলা থেকেই লেখাপড়ার প্রতি অত্যন্ত মনোযোগী ছিল। তার ব্যবহার এমন কোমল ছিল যে আমি কোনো দিন দেখিনি কারও সঙ্গে ঝগড়া করতে। সে নিয়মিত স্কুলে যেত এবং পড়ালেখা করত। গভীর রাতে সজাগ হয়ে শুনতাম সারওয়ার আলম খোকার পড়া।

 

আল আমিন আরও বলেন, সে যখন গুরুদয়াল কলেজে পড়ত, তখন মাস্টার বাড়ির একটা মেসে সে থাকত। সেখানেও সে ভালো লেখাপড়া করত এবং আমি সেখানে যেতাম ও দেখাশোনা করতাম। ওইখান থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করার পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগে ভর্তি হয়। সেখানে ফজলুল হক হলে সে থাকত। আমি ঢাকায় কোনো কাজে গেলে ওর রুমে থাকতাম। আমি শুয়ে থেকে দেখতাম, সারা রাত সে পড়ত। তখন থেকেই তার লক্ষ্য ছিল একজন আদর্শ মানুষ হবে এবং দেশের সেবা করবে। ছোটবেলায় তার যেমন মনোভিত্তি ছিল, এখনো দেখছি তার মনোভিত্তি সে রকম। আমি তার সাফল্য কামনা করি।

 

পাকুন্দিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. হাবিবুল্লাহ তমিজ বলেন, সারওয়ার আলম খোকা আমার ছাত্র ছিল। আমি যখন পড়াতাম, তখন সে ক্লাস সেভেনে ছিল। তখন শিক্ষকদের ধর্মঘট চলছিল। তার উৎসাহে তাকে ও তার কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে আমার রুমের মধ্যে দরজা লাগিয়ে পড়াতাম। একদিন আমি ইউএনওর অফিসে গিয়ে দেখি খোকা বসে আছে। খোকা এসে আমাকে পা ছুঁয়ে সালাম করল। ইউএনও বিষয়টা দেখল, এত অভিডিয়েন্ট ছেলে, এত বড় চাকরি করার পরও একজন স্যারকে সে সালাম করছে, এ জন্য সে অনেক ধন্যবাদ পেল ইউএনওর কাছ থেকে। আমি সব সময় তার জন্য দোয়া করি। আল্লাহ তাকে আরও বড় মানুষ করুক।

 

১৯৮৩ সালে সারওয়ারের শিক্ষাজীবন শুরুর দিককার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইসমাইল মেমোরিয়াল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাবেক সহকারী শিক্ষক রেনু মাস্টার বলেন, সারওয়ার আলম খুব ভালো ছাত্র ছিল। মেধা খুব ভালো ছিল। সবার সঙ্গে মিলেমিশে চলত। গ্রামের বিভিন্ন সমস্যা সে দূরীভূত করেছে। অনেকে আমাকে বলে যে সারওয়ার কি আপনার ছাত্র? আমি বলি জি, হ্যাঁ। এ বিষয়টাই আমি খুব গর্ববোধ করি।

 

সারওয়ার আলমের বাবা মো. বোরহান উদ্দিন জানান, আমার ছেলে সারওয়ার আলম ছোটবেলা থেকেই বেশ নম্র ভদ্র ছিল। আল্লাহ রহমতে লেখাপড়ায় ভালো ছিল। বর্তমানে তার চেষ্টায় এবং আল্লাহ অশেষ রহমতে সে এ পর্যন্ত এগিয়ে এসেছে। এ জন্য আমি তার পিতা হিসেবে গর্বিত।

 

মো. সারওয়ার আলম ২০০৯ সালে চট্টগ্রামের মেয়ে সানজিদা শারমিন লিন্ডার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের চারটি মেয়ে রয়েছে। যাদের নাম মাহরিন সামারা, নাজিফা সাফরিন, তানহা ও মানহা।

 

একুশে সংবাদ.কম/শ.ই.প্র/জাহাঙ্গীর

Link copied!