AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

পর্নোগ্রাফির প্রমাণ দিতে পারেনি সুবাহ, ইলিয়াসকে অব্যাহতি


Ekushey Sangbad
বিনোদন ডেস্ক
০৬:২০ পিএম, ২৫ অক্টোবর, ২০২২
পর্নোগ্রাফির প্রমাণ দিতে পারেনি সুবাহ, ইলিয়াসকে অব্যাহতি

দেশের বিনোদন জগতের অন্যতম আলোচিত ঘটনা ছিল অভিনেত্রী শাহ হুমায়রা সুবাহ ও গায়ক ইলিয়াস হোসাইনের প্রেম-বিয়ে-বিচ্ছেদ।

 

বিয়ের কয়েকদিন যেতে না যেতেই বিষয়টি পৌঁছায় আদালত পর্যন্ত। পারিবারিক কলহের জেরে ইলিয়াস তার স্ত্রী সুবাহকে ঘায়েল করার জন্য হোয়াটসঅ্যাপে কুরুচিপূর্ণ ছবি ও ভিডিও পাঠান। কুরুচিপূর্ণ ছবি ও ভিডিওর বিষয়ে একাধিকবার নোটিশ ও মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হলেও ঘটনা প্রমাণের জন্য কোনো সাক্ষ্য-প্রমাণ হাজির করতে পারেননি শাহ হুমায়রা সুবাহ।

 

সুবাহ তদন্তকারী কর্মকর্তাকে জানান যে, তার মোবাইল হোয়াটসঅ্যাপে এ বিষয় কোনো তথ্য নেই এবং এগুলো ডিলেট হয়ে গেছে।

 

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মোস্তফা রেজা নুর পর্নোগ্রাফি আইনের মামলায় গায়ক ইলিয়াস হোসাইনসহ দুজনকে অব্যাহতি দেন।

 

২০২২ সালের ১৬ আগস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক আসাদুল ইসলাম আসামি ইলিয়াস ও কারিন নাজকে অব্যাহতির আবেদন দিয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা ও পর্নোগ্রাফি আইনে পৃথক দুটি চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এসব কথা উল্লেখ করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

 

এদিন ডিজিটাল নিরাপত্তা ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলার বাদীর উপস্থিতির জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন মামলার বাদী আদালতে উপস্থিত হননি। এরপর বিচারক পর্নোগ্রাফি আইনের মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে গায়ক ইলিয়াস হোসাইন ও কারিন নাজকে অব্যাহতি দেন। এছাড়া মামলার পরবর্তী বিচারের জন্য ডিজিটাল আইনের মামলাটি সাইবার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর আদেশ দেন।

 

অব্যাহতির আবেদনে তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, সিআইডি ফরেনসিক থেকে পাওয়া রিপোর্ট ও সিডি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, মামলার এজাহারে উল্লেখিত ও সংযুক্ত স্কিনশট সংক্রান্ত লিংকগুলোর ভিডিও ক্লিপে সংরক্ষিত বক্তব্যগুলো কুরুচিপূর্ণ ও মানহানিকর বলে মনে হয়নি। লিংকগুলোতে কাউকে ভয়ভীতি অথবা হুমকি দিয়েছেন মর্মে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এছাড়া আসামিদের বিরুদ্ধে কোনো দালিলিক ও মৌখিক সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

 

চূড়ান্ত প্রতিবেদনে তদন্তকারী কর্মকর্তা আরও উল্লেখ করেন, মামলার এজাহারে উল্লেখিত ও সংযুক্ত স্ক্রিনশট সংক্রান্তে তদন্তকালে বাদীর ব্যবহৃত মোবাইলের স্ক্রিনশট ও বাদীর ছবি প্রয়োজন বিধায় তা সংগ্রহের লক্ষে বাদীকে একাধিকবার ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬০ ধারা মোতাবেক হাজির হওয়ার জন্য নোটিশ দেওয়ার পরও তিনি হাজির হননি। মামলার আসামি ইলিয়াস হোসেনের সঙ্গে বাদীর সংসার করাকালীন সুসম্পর্কের কারণে সুকৌশলে অন্তরঙ্গের মুহূর্ত ও গোসলের ছবি এবং ভিডিও সংরক্ষণ করে রাখেন আসামি ইলিয়াস। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কলহের জের মামলার আসামি ইলিয়াস হোসেন স্ত্রীকে ঘায়েল করার জন্য ও মানসিকভাবে অশান্তির জন্য হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে এসব ছবি পাঠান।

 

একাধিকবার নোটিশ ও মোবাইলফোনে যোগাযোগ করেও ঘটনা প্রমাণের মতো কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ হাজির করতে পারেননি মামলার বাদী সুবাহ। বাদী ফোনে জানান যে, তার মোবাইলের হোয়াটসঅ্যাপে কোনো তথ্য নেই এবং তা ডিলিট হয়ে গেছে।

 

গোপনীয় তদন্তে জানা যায়, মামলার বাদী ও আসামি ইলিয়াস স্বামী-স্ত্রী। প্রকাশ্য ও গোপনীয় তদন্তে আরও জানা যায়, মামলা রুজু হওয়ার পর বাদী ও বিবাদীদের মধ্যে আপস হয়েছে বিধায় বাদী একাধিকবার নোটিশ পাওয়ার পরও মামলা সংক্রান্ত প্রমাণাদিসহ হাজির হননি। মামলার বাদীকে ইলিয়াসের আগের বিয়ের কথা গোপন করায় ক্ষোভে ও পারিবারিব কলহের জেরে এ মামলা করা হয়েছে, যা সার্বিক তদন্তে তথ্যগত ভুল মর্মে প্রমাণিত হয়েছে। মামলাটি সার্বিক তদন্তে ইলিয়াস হোসেন ও কারিন নাজদের বিরুদ্ধে ঘটনা প্রমাণের মতো সাক্ষ্যপ্রমাণ না পাওয়ায় মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন জানানো হলো।

 

এর আগে ১১ জানুয়ারি রাতে বনানী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা ও পর্নোগ্রাফি আইনে গায়ক ইলিয়াস হোসাইনসহ দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন অভিনেত্রী শাহ হুমায়রা সুবাহ। মামলার অন্য আসামি হলেন কারিন নাজ।

 

মামলার অভিযোগে বাদী বলেন, আপত্তিকর ছবি ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপে স্ক্রিনশট পাঠায় ও সামাজিক মর্যাদা হানির লক্ষ্যে ভীতি প্রদর্শনসহ ডিজিটাল মাধ্যমে আক্রমণাত্মক ও মানহানিকর বক্তব্য প্রকাশ এবং প্রচার করে। এজাহারে বলা হয়, কারিন নাজ হলেন গায়ক ইলিয়াস হোসাইনের কথিত স্ত্রী ও মডেল।

 

তারও আগে গত ৩ জানুয়ারি রাতে ইলিয়াস হোসাইনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বনানী থানায় মামলা করেন সুবাহ। একই বছরের মার্চে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের নারী সহায়তা ও তদন্ত বিভাগের উপ-পরিদর্শক মাসুমা আফ্রাদ ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় ইলিয়াসের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

 

এ মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে ১১ জনকে। ১৯ জুন ইলিয়াসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছিলেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক আবেরা সুলতানা খান। ২৫ জুলাই বিচারক আবেরা সুলতানা খানম রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন।

 

এদিন আদালতে উপস্থিত হয়ে সুবাহ জানান, তাদের মধ্যে ১০ লাখ টাকায় পারিবারিকভাবে মামলা আপস হয়েছে। এসময় ইলিয়াস হোসাইনও উপস্থিত ছিলেন। এরপর বিচারক মামলাটির সাক্ষ্য ও যুক্তি উপস্থাপন শেষ করে রায়ের জন্য ২৭ জুলাই দিন ধার্য করেন। ২৭ জুলাই ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক আবেরা সুলতানা খানম এ মামলা থেকে আসামি ইলিয়াসকে খালাস দেন।

 

সুবাহ বিচারককে বলেন, আমরা পারিবারিকভাবে ১০ লাখ টাকায় মামলা মীমাংসা করেছি। আমি টাকা বুঝে পেয়েছি। এখন ইলিয়াসের বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ নেই।

 

তিনি আরও বলেন, যে সংসার করবে না তার সঙ্গে জোর করে সংসার করা যায় না। ইলিয়াস তার জীবনে ভালো থাকুক, আর আমি আমার জীবনে ভালো থাকি।

 

ইলিয়াস বলেন, পারিবারিকভাবে আমাদের আপস হয়েছে। সুবাহ ২০ লাখ টাকা দাবি করেছিল। তবে যে কোনোভাবে আমরা মীমাংসা করেছি।

 

একুশে সংবাদ/জা.নি/এসএপি

Link copied!