বরগুনার বঙ্গোপসাগরের মাছ ধরার সময় জেলেদের ট্রলারে ডাকাতি ও জলদস্যুদের গুলিতে মুসা আহমেদ (৩০) নামে এক জেলে নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন ট্রলারে থাকা বেশ কয়েকজন জেলে।
মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন পাথরঘাটার মান্দারবাড়িয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত জেলে পাথরঘাটার চরলাঠিমারা গ্রামের হারুন মিয়ার ছেলে।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আমাদের ধারণা ওই জলদস্যুরা সাতক্ষীরা থেকে এদিকে এসেছে। সব মাছ ও টাকা পয়সা নিয়ে গেছে। তবে জেলে মুসার নিহত হওয়ার খবরটি শুনে খুবই মর্মাহত হয়েছি। রাতেই কোস্টগার্ড গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে। মুসার বাড়িতে এখন শোকের মাতম চলছে।
ট্রলার মালিক সমিতি ও কোস্ট গার্ড সূত্রে জানা যায়, মাছ ধরার জন্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছিল পাথরঘাটার বাবুল ফকিরের মালিকানাধীন এফবি বাবুল ট্রলারের ১২ জন জেলে। রাত সাড়ে ৯টার দিকে হঠাৎ ৩০ থেকে ৩৫ জনের জলদস্যুর একটি দল ট্রলারটিতে আক্রমণ চালায়।
এ সময় ট্রলারে থাকা বিপুল পরিমাণ মাছ, নগদ টাকা ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী লুট করে নেয় জলদস্যুরা। এরপর সব জেলেদের সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড় করিয়ে তাদের দিকে গুলি ছোড়ে। এ সময় মুসা আহমেদ নামে এক জেলে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। আরও কয়েকজন জেলে আহত হন।
খবর শুনে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে আমাদের একটা দল পাঠানো হয়েছে বলে জানান কোস্টগার্ডের (পশ্চিম জোন) অপারেশন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট লুৎফুর রহমান। এ বিষয়ে তিনি বলেন, নিহত জেলের মরদেহ, ট্রলার ও বাকি জেলেদের উদ্ধার করে পাথরঘাটায় নিয়ে আসা হয়েছে। এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকটি ট্রলার তীরে আসেনি। এছাড়া ট্রলারগুলো ফিরে আসার পর আর কোনো ট্রলারে ডাকাতি হয়েছে কি না বোঝা যাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
একুশে সংবাদ/জা/তাশা