বাংলাদেশে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে তথ্য গোপনের প্রবণতা অনেক দিনের। তবে এবার রাজীবপুর উপজেলায় ভিন্ন এক ছবি দেখা গেছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের বিভিন্ন প্রকল্পের তথ্য জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করেছে।
এর ফলে স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের এলাকায় বাস্তবায়িত প্রকল্প ও বরাদ্দের পরিমাণ সম্পর্কে অবগত হচ্ছেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, খাদ্য কর্মসূচি (কাবিটা), টেস্ট রিলিফ (খাদ্য শস্য/নগদ অর্থ), জিআর (খাদ্য শস্য ও নগদ অর্থ), ভিজিএফ (বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় সেতু/কালভার্ট নির্মাণ), অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি (আশ্রয়ণ, আদর্শ গ্রাম, গুচ্ছ গ্রাম), ঝুঁকি হ্রাস কর্মসূচি ও বিভিন্ন দুর্যোগকালীন কার্যক্রমসহ সরকারের নানা প্রকল্পের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে এ দপ্তর সহযোগিতা করে থাকে।
এসব প্রকল্পের সঙ্গে জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দেরও সংশ্লিষ্টতা থাকে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাস্তবায়িত প্রকল্পের বরাদ্দ ও বিস্তারিত তথ্য উন্মুক্ত করার ফলে অনেকেই তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করছেন। অনেকে নিজেদের এলাকার প্রকল্প সম্পর্কে জানার পর অবাক ও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। অধিকাংশ প্রকল্পের কাজের গুণগত মান সন্তোষজনক বলে মনে করা হচ্ছে। যেসব প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হয়নি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সন্তোষজনক কাজ আদায়ের জন্য দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
রাজীবপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জানান, প্রকল্পের তালিকা উন্মুক্ত করার মাধ্যমে এলাকার উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ সবার সামনে স্পষ্ট হয়। তিনি আরও বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে গঠিত পিআইসি সদস্যদের সঠিকভাবে কাজ সম্পন্ন করার তাগিদ দেওয়া হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফজলে এলাহী বলেন, সরকার জনসাধারণের উন্নয়নের জন্য প্রতিবছর বরাদ্দ দেয়। কিন্তু কেউ কেউ নিজের নামে নিয়ে কাজ না করেই টাকা উত্তোলন করেন। তাই তথ্য উন্মুক্ত করা হয়েছে এবং সরেজমিন তদন্তের ভিত্তিতে অর্থ ছাড়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
একুশে সংবাদ/কু.প্র/এ.জে