চরভদ্রাসনে নদী ভাঙন আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে পড়ছে পদ্মাপাড়ের মানুষ। বাড়িঘর ফসলের ক্ষেত হারানো সকলেরই অভিযোগ অব্যাহতভাবে পদ্মায় ড্রেজার দিয়ে বালু মাটি তোলার কারণে নদীর তলদেশ খোলায়ে পদ্মার তীরবর্তী বাড়িঘর ফসল সবই ভাঙ্ঙনের মুখে পড়ছে। লাভবান হয় অবৈধভাবে বালু লুটের দস্যুরা সবকিছু হারায়ে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ।
বর্ষা এলেই শুরু হয় পদ্মা নদীর ভাঙন। এ কারণে প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে আতঙ্কে থাকে ফরিদপুর জেলার চরভদ্রাসন উপজেলার পদ্মাতীরবর্তী হাজারো পরিবার।
এবারও পদ্মায় পানি বাড়ায় শুরু হয়েছে ভাঙন। ২০ দিনে চরভদ্রাসনের চরঝাউকান্দা ইউনিয়নের পাঁচটি পরিবারের ভিটেমাটি পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। চরভদ্রাসন উপজেলার পদ্মাতীরবর্তী গ্রামগুলোয় এখন উদ্বেগ উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার কমপক্ষে ১০টি পরিবারকে এরই মধ্যে ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিতে হয়েছে। অনেকে বৃষ্টির দিনে খোলা জায়গায়, অনেকে নদীর পাড়ে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন।
চরভদ্রাসনের চরহরিরামপুর ইউনিয়নের সবুল্যা শিকদারের ডাঙ্গী, সদর ইউনিয়নের টিলারচর, চরঝাউকান্দা ইউনিয়নের চরকালকিনিপুর, চরমির্জাপুর, চরতাহেরপুর, চরকল্যাণপুর, দিয়ারা গোপালপুর গ্রামেও পদ্মার ভাঙন বেড়েছে।
চরঝাউকান্দা ইউপি চেয়ারম্যান বদরুজ্জামান মৃধা বলেন, গত ২০ দিনে এ ইউনিয়নের পাঁচটি পরিবারের ঘরবাড়ি পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে।
চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনিরা খাতুন বলেন, পদ্মার ভাঙন প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।
একুশে সংবাদ/ফ.প্র/এ.জে