বেশি টাকা বেতনে চাকরির লোভ দেখিয়ে পোশাক শ্রমিক কিশোরীকে (১৪) ধর্ষণে অভিযুক্ত লিটন মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৬ জুন) দিবাগত রাত ১০টায় গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার আনসার রোড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার (১৭ জুন) ধর্ষক লিটন মিয়াকে গাজীপুর আদালতে পাঠানো হবে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহম্মদ আব্দুল বারিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযুক্ত লিটন মিয়া ময়মনসিংহের গফরগাঁও (পাগলা) থানার ডুবাইল গ্রামের আব্দুল আউয়ালের ছেলে। সে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ গ্রামের আতাবুদ্দিন মুছার বাড়িতে ভাড়া থেকে তালহা স্পিনিং মিলস লিমিটেড কারখানার ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথে নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে চাকরি করত।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহম্মদ আব্দুল বারিক জানান, ভিকটিম কিশোরী স্থানীয় একটি কারখানায় ৬ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করে এবং ডাচ বাংলা ব্যাংকের ওই বুথ থেকে নিয়মিত টাকা উঠাত। ওই বুথ থেকে টাকা উত্তোলন করতে গেলে কিশোরীর সাথে এটিএম বুথের নিরাপত্তাকর্মী লিটন মিয়ার সাথে পরিচয় হয়। পরে ভিকটিমকে ১২ হাজার টাকা বেতনের চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দেয় লিটন মিয়া।
ঘটনার দিন রবিবার (১৫ জুন) সকাল ৬টায় লিটন মিয়া ভিকিটিমের বাবার মুঠোফেনে ফোন করে তার মেয়েকে এটিএম বুথে পাঠাতে বলে। এদিন সকালে কিশোরকে তার বাবা এটিএম বুথে পাঠালে ওই এটিএম বুথের ভিতরে থাই গ্লাস দিয়ে আটকানো একটি কক্ষে নিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। ঘটনার পর থেকে ধর্ষক লিটন পলাতক ছিল। পরে ভিকটিম বাড়িতে গিয়ে তার বাবা-মাকে ঘটনা জানায়। মামলা দায়ের করলে পুলিশ লিটন মিয়াকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালায়। লিটন মিয়া বারবার তার অবস্থান পরিবর্তন করে। পরে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে পৌরসভার আনসার রোড এলাকা থেকে সোমবার দিবাগত রাত ১০টায় তাকে গ্রেপ্তার করে।
প্রসঙ্গত, রবিবার (১৫ জুন) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ গ্রামের তালহা স্পিনিং মিলস লিমিটেড কারখানার গেটে ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথের ভিতর পোশাক শ্রমিক কিশোরকে ধর্ষণ করে লিটন মিয়া। এদিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে লিটনকে একমাত্র আসামি করে মামলা রুজু করলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে।
একুশে সংবাদ/গা.প্র/এ.জে