নরসিংদীর পলাশে শোডাউনকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল নেতাদের ওপর গুলি বর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণ হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছে ঘোড়াশাল পৌর বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
সোমবার (১৬ জুন) বিকালে ঘোড়াশাল পৌর এলাকার পলাশ বাসস্ট্যান্ড থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে উপজেলার প্রধান সড়ক গুলো প্রদক্ষিণ করে পলাশ থানার ফটকে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বক্তারা বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দোসর ঢাকা-১৮ আসনের সাবেক এমপি ও জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জতার খুনি খসরু চৌধুরীর ডান হাত সন্ত্রাসী জুয়েল বাহিনী কর্তৃক রবিবার সন্ধ্যায় পলাশ উপজেলা ছাত্রদল আয়োজিত শান্তি সমাবেশ ও মিছিলে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ও ছাত্রদল নেতাদের ওপর গুলি বর্ষণের ঘটনা নিঃসন্দেহে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার গভীর ষড়যন্ত্রের একটি অংশ।
বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণকারী বক্তারা আরও বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর রাজপথে থেকে যেসব ছাত্রনেতারা জীবন বাজি রেখে আন্দোলন সংগ্রাম করে স্বৈরাচার ও ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতন ঘটিয়েছে। সেই সব ছাত্রনেতাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ছাত্রদল নেতা ইসমাঈল হোসেন ও রবিউল মিয়া।
১৭ বছর পর এসে দেশে স্বৈরাচার মুক্ত হলেও তাদের দোসররা এখনো বিভিন্ন ছদ্মবেশে আমাদের মাঝে লুকিয়ে আছে। যার কারণে জুয়েল ও তার বাহিনীর গুলিতে বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে ছাত্রদল কর্মী ইসমাঈল মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। এছাড়া সন্ত্রাসী জুয়েল বাহিনীর গুলিতে নিরীহ সিএনজি চালক সোহেল মিয়া গুলিবিদ্ধ হওয়া সহ বেশ কয়েকজন আহত হন। তাই অতিদ্রুত সন্ত্রাসী জুয়েলসহ তার বাহিনীর সদস্যদের গ্রেপ্তারও দাবি করেন তারা।
এসময় ঘোড়াশাল পৌর বিএনপির সভাপতি মো. আলম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, যুগ্ন সম্পাদক মহিউদ্দিন চিশতিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, পলাশ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এড. বাছেদ মিয়া, পলাশ উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক নাজমুল হোসেন সোহেল, সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান পাপন, ঘোড়াশাল পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, সদস্য সচিব আরিফুল ইসলাম আরিফ, ডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএপির সিনিয়র সহ সভাপতি জামান ও ডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবদলের সভপতি মনিরুজ্জামান মনিরসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ, রবিবার সন্ধ্যায় পলাশ উপজেলা ছাত্রদল ও নরসিংদী জেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুর কবির জুয়েলের শোডাউনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়ায়। এসময় ছাত্রদল কর্মী ইসমাঈল ও সিএনজি চালক সোহেল গুলিবিদ্ধ হয়। এছাড়া পুলিশসহ অন্তত দশজন আহত হন। তাদের মধ্যে ইসমাঈলের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।
এ ঘটনায় রাতেই জেলা বিএনপির সহ সাংগঠিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েলকে প্রধান করে ৯ জনের নামে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলা হওয়ার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন। তবে এ ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
একুশে সংবাদ/ন.প্র/এ.জে