ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য (২৫)–এর মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে তার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার সড়াতৈল গ্রামে। স্বজনরা এখনো তার মরদেহের অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন।
বুধবার (১৪ মে) সকাল ১১টায় সাম্যের গ্রামের বাড়িতে গেলে দেখা যায়, স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে সাম্যের মৃত্যুর খবর পেয়ে পরিবারে নেমে আসে শোকের ছায়া।
নিহত সাম্য ওই গ্রামের ফরহাদ সরদারের ছেলে। কয়েক বছর আগে তার মা মারা গেছেন। চার ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট। পুরো পরিবার ঢাকায় বসবাস করতেন।
সাম্যের বড় চাচা ডা. কাউসার আলম জানান, “চার সন্তানের পরিবারটি ঢাকায় থাকত। সাম্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছিলেন।”
তিনি আরও বলেন, “রাত ১টার দিকে খবর পাই, সাম্যকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। জানি না কী অপরাধ ছিল তার! সকালে ময়নাতদন্ত শেষে ঢাকায় জানাজা হবে, তারপর মরদেহ আনা হবে গ্রামের বাড়িতে। পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।”
স্থানীয় ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম জানান, সাম্য ছিলেন খুবই মেধাবী ছাত্র। তিনি উল্লাপাড়া মোমোনা আলী বিজ্ঞান স্কুল থেকে পড়াশোনা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। পরবর্তীতে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত হন।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান মুক্তমঞ্চের পাশ দিয়ে মোটরসাইকেলে যাওয়ার সময় আরেকটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে সাম্যের ধাক্কা লাগে। এরপর বাকবিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার ডান পায়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে রাত ১২টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
একুশে সংবাদ/সি.প্র/এ.জে