AB Bank
  • ঢাকা
  • বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

চাঁদপুরে অবৈধ ট্রাক্টরে প্রতিনিয়ত বাড়ছে দুর্ঘটনা



চাঁদপুরে অবৈধ ট্রাক্টরে প্রতিনিয়ত বাড়ছে দুর্ঘটনা

চাঁদপুরে বেপরোয়াভাবে চলাচল করছে নিষিদ্ধ ট্রলি ও ট্রাক্টর। বিভিন্ন উপজেলার ছোটবড় সব সড়কে সকাল থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত বেপরোয়াভাবে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এসব যানবাহন। লাইসেন্স, সিগনাল লাইট ও হর্ন ছাড়াই এগুলো রাস্তায় চলাচল করছে।

একই সাথে নিয়ন্ত্রণহীন এসব বাহনের কারণে দুর্ঘটনাও বাড়ছে। প্রতিনিয়ত এসব গাড়ির সংঘর্ষে প্রাণ হারাচ্ছে অপর গাড়িতে থাকা যাত্রী ও পথচারীরা। নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ সড়ক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে এসব যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সরেজমিনে দেখা যায় জেলার চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়ক, ফরিদগঞ্জ, হাইমচর, হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তি উপজেলার গ্রামীণ সড়কে অবাধে চলছে সেচযন্ত্রচালিত অবৈধ যানবাহন ভটভটি। এছাড়া গ্রামীণ সড়কগুলোতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বালু, মাটি ও ইটবাহী ট্রাক্টর।

স্থানীয় পরিবহন শ্রমিকদের অভিযোগ, পুলিশের সামনে দিয়ে এসব নিষিদ্ধ যান চলাচল করলেও এগুলো বন্ধ করার জন্য নেয়া হচ্ছে না স্থায়ী কোনো আইনগত ব্যবস্থা।

শাহরাস্তি উপজেলার স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পরিবহন ব্যয় কমাতে ট্রাক ও পিকআপের বিকল্প এ বাহনে বালু, সিমেন্ট, কাঠ, সব্জিসহ বিভিন্ন পণ্য বহনে ব্যবহার হচ্ছে।

এছাড়া গ্রামীণ সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অবৈধ ট্রাক্টর। কৃষি কাজের জন্য ভর্তুকি দিয়ে কেনা ইঞ্জিনের পেছনে ট্রলি সংযোগ করে ট্রাকের বিকল্প পণ্য পরিবহনে এ যানের ব্যবহার হচ্ছে। বিভিন্ন ইটভাটায় মাটি সরবরাহে কৃষি জমির টপ সয়েল বিক্রি ও জমির মাঝেই নিজস্ব রাস্তা তৈরি করে ট্রাক্টর চলাচল করে।

চাঁদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মো. নাহিদ জানান, সড়কে বিভিন্ন যানবাহনের সাথে পাল্লা দিয়ে চলা ভটভটি ও ট্রাক্টরের কারণে প্রায়ই বিভিন্ন দুর্ঘটনা ঘটছে।

হাজীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা মামুন মিয়া বলেন, ট্রাক্টরগুলো বন্ধ হচ্ছে না ইটভাটা মালিকদের জন্য। তারা এই বাহন জমি থেকে মাটি কাটার কাজে বেশি ব্যবহার করছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সঠিকভাবে কাজ করলে এসব বাহন সড়কে চলতে পারবে না।

হাইমচর উপজেলার মহজমপুর গ্রামের বাসিন্দা মাসুদ মিয়া বলেন, ট্রাক্টর চলাচলে একসময় নিষেধাজ্ঞা ও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন চাঁদপুরের সাবেক পুলিশ সুপার শামছুন্নাহার। এরপর কয়েক বছর বন্ধ থাকলেও এখন আবার সড়কে চলছে এসব বাহন। এসব বাহন বন্ধ না করলে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত গ্রামীণ সড়কগুলো নষ্ট হয়ে যাবে।

শাহরাস্তি উপজেলার কালিয়াপাড়া এলাকার পরিবহন শ্রমিক আহসান হাবিব বলেন, ভটভটি দিয়ে বিভিন্ন মালামাল ও তরিতরকারি আনা-নেয়া করা হয়।

খরচ বাঁচাতে মিনি ট্রাকের বিকল্প হিসেবে এই যানবাহন ব্যবহার হয়। এসব গাড়ির ব্রেক সিস্টেম ভালো না। নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে নিয়মিত দুর্ঘটনা ঘটছে।

মেহের ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ জিয়াউদ্দিন চৌধুরী বলেন, প্রতিটি যানবাহন বাজারে আসার আগে তাদের গতি, বেগ ও ব্রেকিং সিস্টেম বুয়েটে পরীক্ষা করে অনুমোদন নেয়া হয়ে থাকে।

ফরিদগঞ্জ উপজেলা নিরাপদ সড়ক চাই সংগঠনের সভাপতি মো. বারাকাত উল্লাহ পাটওয়ারী বলেন, ট্রাক্টরে মাল পরিবহন ও চলাচল বন্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ কঠোর না হওয়ায় এসব বাহন বন্ধ হচ্ছে না।

ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা রাজিয়া বলেন, ট্রাক্টরসহ অবৈধ যান চলাচল বন্ধে ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। এসব যান স্থায়ীভাবে বন্ধে পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

চাঁদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ আব্দুর রকিব বলেন, চাষাবাদের কাজে ব্যবহৃত যন্ত্র চালিত এসব বাহন কোনভাবেই সড়কে চলার অনুমতি নেই। থানার ওসি এবং ট্রাফিক পুলিশকে এগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হবে।

 

একুশে সংবাদ/চাঁ.প্র/এ.জে

Shwapno
Link copied!