মানিকগঞ্জের সিংগাইরে স্কুলে যাওয়া আসার পথে নাতনিকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় নানা আজগরকে (৫০) কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সন্ত্রাসীরা আজগরকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে। পরে তাকে উদ্ধার করে রাত ১০টার দিকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ নিয়ে বুধবার একটি হত্যা মামলা হয়েছে বলে জানান সিংগাইর থানা পুলিশ ।
নিহত আজগর সিংগাইর থানার জয়মন্টপ ইউনিয়নের রায়দক্ষিন গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পেশায় একজন মুদি দোকানদার ছিলেন।
এলাকাবাসি ও নিহতের পরিবার জানান, ৩য় শ্রেণীতে পড়ুয়া নাতনীকে স্কুলে যাওয়া আসার পথে উত্যক্ত করে স্থানীয় মৃত কালু পরামানিকের ছেলে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী আল আমিন (৫০)। এ ঘটনায় মঙ্গলবার বাদী হয়ে সিংগাইর থানায় লিখিত অভিযোগ দেন নানা আজগর। মামলা করায় আল আমিন ক্ষিপ্ত হয়ে ওইদিন সন্ধ্যায় ১৫/২০ জনের সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে রামদা ও চাপাতি দিয়ে আজগরের হাত, পা, মাথাসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে কুপিয়ে স্পটে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. রাকিব আল শুভ বলেন, রোগীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
নিহতের ছেলে লিয়াকত জানান, তার বাবার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বর্তমানে ঢাকা সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে। তিনি আরো জানান হামলাকারীদের চিহ্নিত করা গেলেও পুলিশ জানিয়েছে তাদের গ্রেপ্তারের স্বার্থে গণমাধ্যমে নাম প্রকাশ না করার জন্য।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জে ও এম তৌফিক আজম বলেন, এ ঘটনায় থানায় দুটি মামলা হয়েছে। ইভটিজিংয়ের অপরাধে আল আমিনকে আসামি করে মঙ্গলবার থানায় মামলা দায়ের হয় এবং হত্যার ঘটনায় আল আমিনসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে আরো ৫/৬ জন অজ্ঞাত নামা আসামির বিরুদ্ধে পৃথক আরও একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। তিনি আরো বলেন ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে পুলিশ।
একুশে সংবাদ//মা.প্র//এ.জে