নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের নোয়াদ্দা এলাকায় বিয়ে করে প্রতারণার শিকার হয়েছেন সোনিয়া আক্তার নামে এক নারী। তিনি জামপুর ইউনিয়নের রাউতগাঁও এলাকার মো. শরিফুল ইসলামের মেয়ে।
ভুক্তভোগী সোনিয়া আক্তার জানান, “আমি একাদশ শ্রেণিতে পড়াকালীন সময়ে আড়াইহাজার উপজেলার ভাটি গোবিন্দপুর এলাকার মো. আব্দুস সাত্তার মিয়ার ছেলে মো. ইমন (২১) বিভিন্নভাবে আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে উত্ত্যক্ত করত। আমি পাত্তা না দিলেও একপর্যায়ে সে জোরপূর্বক আমাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে তিন লাখ টাকা দেনমোহরে তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে আমাকে বিয়ে করে। এরপর নারায়ণগঞ্জের চিটাগাং রোড এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস শুরু করি।”
তিনি আরও জানান, “বিয়ের পাঁচ দিনের মাথায় ইমন বিশেষ কাজের কথা বলে আমাকে একা রেখে চলে যায়। পরে জানতে পারি, সে নিজ গ্রামে গিয়ে আরেকটি বিয়ে করেছে। আমি এ বিষয়ে যোগাযোগ করলে সে জানায়, আমি যদি তার বাড়িতে যাই বা কোনো ঝামেলা করি, তাহলে সে আমাকে মেরে ফেলবে।”
সোনিয়া আক্তার বলেন, “আমি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তার বাড়িতে গেলে সে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। পরে তার পরিবারের সদস্যরা আমাকে আমার বাড়িতে পৌঁছে দেয়। এরপরও সে মোবাইলে বিভিন্ন সময় ভয়ভীতি দেখাতে থাকে এবং ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে মীমাংসার প্রস্তাব দেয়। আমি রাজি না হওয়ায় সে নারায়ণগঞ্জ কোর্টে আমার বিরুদ্ধে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।”
তিনি জানান, “আমি তার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলা কোর্টে নারী নির্যাতনের মামলা করেছি। বর্তমানে সে আমাকে ও আমার পরিবারকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। এ অবস্থায় আমি থানায় গিয়ে নিরাপত্তা চাইতেও ভয় পাচ্ছি।”
সোনিয়া আক্তার বলেন, “আমি স্ত্রীর অধিকার চাই। চাই পাঁচটি নারীর মতো স্বাধীনভাবে বাঁচতে।”
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :