রাজশাহীর তানোর উপজেলার মাঠজুড়ে এখন বোরো ধানের সোনালী ছোঁয়া। হেমন্তের বাতাস আর রোদে ধানের শীষে পাক ধরেছে। আগামী এক-দুই সপ্তাহের মধ্যেই পুরোদমে শুরু হবে ধান কাটার মৌসুম। কৃষকরা আশায় বুক বেঁধেছেন, এবার বাম্পার ফলনের পাশাপাশি দামও ভালো পাবেন।
তানোর উপজেলা বরাবরই ধান চাষের জন্য উপযুক্ত হিসেবে বিবেচিত। এবছরও এখানে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে সবচেয়ে বেশি। হাড় কাঁপানো শীতে বীজ রোপণ, জমি চাষ ও পরিচর্যার মতো কঠিন পরিশ্রমের ফসল এখন মাঠে ফুটে উঠেছে সোনালী রঙে।
তানোর পৌর এলাকার কৃষক বাবু, হাবিবুর ও ফারুক হোসেন জানান, “এবার ধানে ভালোই পাক ধরেছে, আবহাওয়া এখনো অনুকূলে আছে। ধানে তেমন কোনো রোগবালাইও নেই। আশা করছি এবার ফলন যেমন ভালো হবে, তেমনি বাজারেও ভালো দাম পাবো।”
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবছর তানোরে বোরো ধান চাষ হয়েছে ২৫ হাজার ১২৫ হেক্টর জমিতে। হেক্টরপ্রতি ফলন ধরা হয়েছে গড়ে ৭ মেট্রিক টন, ফলে মোট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১ লাখ ৯০ হাজার ৯০০ মেট্রিক টন। এই উৎপাদন স্থানীয় চাহিদার তুলনায় কয়েকগুণ বেশি বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
তানোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহমেদ বলেন, “এখন পর্যন্ত ধানখেতে কোনো রোগবালাই দেখা যায়নি। আমাদের উপসহকারী কর্মকর্তারা নিয়মিত মাঠ পর্যায়ে তদারকি করছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবছর বাম্পার ফলনের পাশাপাশি কৃষকরা ধানের ন্যায্য দামও পাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।”
একুশে সংবাদ/বিএইচ