AB Bank
  • ঢাকা
  • রবিবার, ০৪ মে, ২০২৫, ২১ বৈশাখ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

লক্ষ্মীপুরের ডিবির ওসি পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতেন জাকির


Ekushey Sangbad
মো. রবিউল ইসলাম খান, লক্ষ্মীপুর
০১:৫৮ পিএম, ২৮ জানুয়ারি, ২০২৫

লক্ষ্মীপুরের ডিবির ওসি পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতেন জাকির

মাদকাসক্ত আসামী ছেড়ে দেয়ার কথা বলে ডিবির ওসি পরিচয়ে ৪৪ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে প্রতারক চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। সোমবার (২৭ জানুয়ারী) বিকালে ব্রাক্ষ্মনবাড়ীয়ার বিজয়নগর উপজেলার শেখ হাসিনার ব্রীজ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আটক জাকিরকে প্রতারনা ও চাঁদাবাজি মামলায় (যার নং-৪৮) গ্রেপ্তার দেখিয়ে লক্ষ্মীপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও জাকিরের নামে ব্রাক্ষ্মবাড়ীয়া, গাইবান্ধা, কুমিল্লা, রাজবাড়ি, সুনামগন্জ ও বগুড়াসহ বিভিন্ন থানায় ১৫টি মামলা চলমান।


ডিবি পুলিশ জানায়, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার হামছাদী ইউপির কাপিলাতুলি গ্রামের মৃত মনতাজ মিয়ার মেয়ের জামাতা পারভেজকে (২৫) ২৩ জানুয়ারী তার এলাকায় মাদক সেবন অবস্থায় আটক করে থানায় নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ। তার দুই ঘন্টা পরে জাকির আটক পারভেজের স্ত্রীকে ফোন করে বলে যে আমি মামলার বাদি ডিবির ওসি সোহাগ বলছি (প্রতারক জাকির হোসেন)।  ৫০ হাজার টাকা দিলে তোমার স্বামীসহ তার সাথে যাদেরকে আটক করা হয়েছে তাদের ছেড়ে দেয়া হবে বলে ফোন কেটে দেয়।


তার কিছুক্ষন পর আবার টাকা পাঠানোর জন্য একটি বিকাশ নম্বরও দেওয়া হয়। ভয়ে ছেলেকে ছাড়িয়ে নিতে প্রতারকের দেওয়া বিকাশ নম্বরে দুই দফায় ৪৪ হাজার টাকা পাঠান আমেনা খাতুন। পরদিন বিষয়টি আমেনা খাতুন ডিবি ও থানা থানাকে জানান তিনি। এরপর লক্ষ্মীপুর ডিবি পুলিশ তদন্ত করে ব্রাক্ষ্মনবাড়ীয়ার বিজয়নগর থানার শেখ হাসিনা ব্রীজ এলাকার থেকে অভিযুক্ত জাকির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। এর আগে সে দুটি সীম তিতাস নদীতে ফেলে দেয়া হয় বলেন।


লক্ষ্মীপুর ডিবি পুলিশের এসআই মোঃ ফয়েজ আহমেদ বলেন, গ্রেপ্তার আসামি জাকির স্বীকার করেন সে লক্ষ্মীপুরসহ বিভিন্ন থানার ও ডিবির ওসি সোহাগ পরিচয় দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে লোকজনের কাছ থেকে হাজার-লক্ষ টাকা প্রতারনার মাধ্যমে হাতিয়ে আসছিলেন। চক্রের সদস্যরা কখনো রিকশাচালক, আবার কখনো দিনমজুর হিসেবে কাজ করেন।


ফয়েজ আহমেদ আরও বলেন, প্রতারণার কৌশল হিসেবে ভুক্তভোগী বা সেবাপ্রার্থী সেজে বিভিন্ন থানায় গিয়ে সেখানকার থানার-ডিবির ওসি, ওসি (তদন্ত) ও অন্য কর্মকর্তাদের নাম সংগ্রহ করেন তাঁরা। এরপরে তাঁরা থানায় সংঘটিত বিভিন্ন ঘটনা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। তাৎক্ষণিক ওই ঘটনার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নাম ব্যবহার করে বাদী ও বিবাদীর কাছে চাঁদা দাবি করেন। টাকা আদায়ের পরে ব্যবহৃত ফোন বন্ধ করে দেন তাঁরা। সম্প্রতি আমেনা খাতুন নামের এক বৃদ্ধ নারীর আটক মাদকাসক্ত ছেলেকে ছেড়ে দেয়ার কথা বলে দুই দফায় ৪৪ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় সে।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Shwapno
Link copied!