AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

আমতলীতে নিত্যপন্যর দাম আকাশ ছোয়া, দাম ক্রয় ক্ষমতার বাইরে!


Ekushey Sangbad
আমতলী উপজেলা প্রতিনিধি, বরগুনা
০১:৫৫ পিএম, ১৯ মার্চ, ২০২৪
আমতলীতে নিত্যপন্যর দাম আকাশ ছোয়া, দাম ক্রয় ক্ষমতার বাইরে!

রমজানে বরগুনার আমতলীতে নিত্যপণ্যের দাম লাগামাহীনভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজার করতে এসে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন সাধারণ ক্রেতারা। 


সবজি বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, দেশি ধনিয়া পাতা ১২০-১৪০টাকা, টাকা, কাঁচা মরিচ ১০০ থেকে ১২০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৮০টাকা ও টমেটো ৬০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।


এছাড়া অন্যান্য কাঁচা তরকারি পটল ও কাকরোল ৭০ থেকে ৮০ টাকা, বরবটি, সিম ৫০ থেকে ৬০ টাকা, শসা১০০ থেকে ১২০টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, কাঁচা কলা (হালি) ৬০টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। রমজানের শুরু থেকেই হঠাৎ করে বেড়ে যায় জিনিসপত্রের দাম। বিশেষ করে কাঁচা মরিচ, ধনিয়া ও বেগুনের অস্বাভাবিক দাম সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে।


মাছের বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ইলিশ মাছ ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা, রুই মাছ কেজি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, তেলাপিয়া মাছ ১৮০ থেকে ২২০ টাকা, কার্প ২২০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য সামুদ্রিক মাছও বিক্রি হচ্ছে চড়া মূল্যে। 


মাংসের বাজারে গিয়ে দেখা যায়, খাসির মাংস ৯০০ থেকে ১০৫০ টাকা, গরুর মাংস ৭৫০ টাকা । ব্রয়লার মুরগী ২২০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা । মূল্য বৃদ্ধির হাওয়া লেগেছে ইফতারির বাজারেও। মুড়ি ১১০ টাকা, খেজুর ১৮০ টাকা থেকে শুরু করে ৭০০/৮০০ টাকা, আংগুর ২৫০ থেকে ২৮০, আপেল ২৫০, মাল্টা ৩০০ টাকা । ছোলা কেজি ১১০ টাকা , চিনি কেজি ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা । পেয়াজ ৭০ টাকা , আলু ৩৫ টাকা, রোসন, ১৬০ থেকে ২৪০ টাকা, শুশুরী ডাল ১২ থেকে ১৪০ টাকা, খেসারী ডাল ১৬০ টাকা , হলুদ ১৩০ টাকা মরিচ ৪৮০ টাকা । রোজার দোহাই দিয়ে ব্যবসায়ীরা জিনিসপত্রের দাম ইচ্ছামতো বাড়িয়ে দেয় বলে ক্রেতাদের অভিযোগ। এদিকে ব্যবসায়ীরা জানান, তাদের কিছু করার নেই। যে সকল আড়ৎ থেকে মালামাল ক্রয় করেন সেখানেই তাদের চড়া মূল্য দিতে হয়। 


খুচরা বিক্রেতা মো. বশার মিয়া বলেন, আমরা আগের মতোই লাভ করি। বেশি লাভ করি না। জিনিসপত্রের দাম বাড়লে আমাদেরও সমস্যা হয়, পুঁজি বেশি লাগে। যে পরিমান পণ্য আগে ২০ হাজার টাকা দিয়ে কিনতে পারতাম, একই পরিমাণ পণ্য কিনতে এখন দ্বিগুণ খরচ হচ্ছে। রোজার শুরুতেই এভাবে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় নিম্ন ও মধ্যবিত্ত ক্রেতারা অসহায় হয়ে পড়েছেন। তাদের দাবি, প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর নজরদারি করা হলে ব্যবসায়ীরা এভাবে ইচ্ছামত দাম বাড়াতে পারত না। যারা হঠাৎ দাম বাড়িয়ে মানুষকে হয়রানি করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান ক্রেতারা।


আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আশ্রাফুল আলম মুঠোফোনে বলেন, ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।


 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!