AB Bank
ঢাকা সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী
সুনামগঞ্জে পরকীয়া প্রেমিক কর্তৃক ১০ লাখ টাকা আত্মসাৎ

স্ত্রী সন্তানকে ভাগিয়ে নেয়ার ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন


Ekushey Sangbad
জেলা প্রতিনিধি,সুনামগঞ্জ
১০:০০ পিএম, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৪
স্ত্রী সন্তানকে ভাগিয়ে নেয়ার ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন

সুনামগঞ্জে ১০ লাখ টাকা আত্মসাৎসহ স্ত্রী সন্তানকে ভাগিয়ে নিয়ে অবৈধ সংসার করার ঘটনায় এক ভূক্তভোগী স্বামী কর্তৃক সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। বুধবার   (১৭   জানুয়ারি)   বিকেল   সাড়ে   ৫টায়   সুনামগঞ্জ পৌরবিপনী   মার্কেটের   দুতালায়   অনুষ্ঠিত   সংবাদ   সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন ভূক্তভোগী স্বামী মোঃ নবী হোসেন। তিনি জেলার   শান্তিগঞ্জ   উপজেলার   জয়কলস   ইউনিয়নের   জামলাবাজ নিবাসী মোঃ ইছাক মিয়ার পুত্র।  

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নবী হোসেন বলেন,আমি ২০১৫ সালে   সুনামগঞ্জ   পৌরসভার   বাগানবাড়ি   এলাকার   মৃত   আব্দুল সালামের মেয়ে নেহারুন বেগম (২২) এর সাথে ইসলামিক শরিয়া মোতাবেক   দ্ইু   লাখ   টাকা   দেনমোহরানা   ধার্যক্রমে   বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। বিয়ের পর আমাদের সংসার বেশ ভালই চলছিল। নিশাত   হোসেন   নামে   আমার   একটি   সাড়ে   তিনবছরের   কন্যা সন্তান   রয়েছে।   বিয়ের   দুই   বছর   পর   জীবিকার   প্রয়োজনে   এবং পরিবারে   একটু   স্বচ্ছলতা   ফিরিয়ে   আনার   লক্ষ্যে   ২০১৬   সালে সংযুক্ত   আরব   আমিরাতের   দুবাই   শহরে   পাড়ি   জমাই।   যাওয়ার আগে   আমার   স্ত্রী   নেহারুন   বেগমকে   একটি   ভাড়া   বাসায় স্থানীয় বাগানবাড়ির বাসিন্দা এবং সুনামগঞ্জ জজকোর্টের আইনজীবি   মৃত   সোনা   মিয়ার   ছেলে   এ্যাডভোকেট   আজমল হোসেন   বিলাশের   তত্ববধানে  বিশ্বাস   করে   রেখে   যাই।   বিদেশ যাওয়ার   পূর্বে   আমার   স্ত্রী   ও   এই   আইনজীবির   নিকট   প্রতি অটো গাড়ি দেড় লাখ টাকা করে মোট সাড়ে চার লাখ টাকায় তিনটি গাড়ি খরিদ করে দিয়ে যাই। বিদেশ গিয়ে হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম   করে   স্ত্রীর   নামের   একাউন্টে   ৫   লাখ   টাকা   এবং   এই আইনজীবিকে একটি অটো গাড়ির গ্যারেজ করার জন্য দুই লাখ টাকা পাঠিয়ে দেই। দেশের বাহিরে যাওয়ার আগে আরো দেড়লাখ সহ মোট সাড়ে তিন লাখ টাকা এ্যাডভোকেট আজমল হোসেন বিলাশের হাতে   নগদ প্রদান   করি।  আমার  সংসার  মোটামুটি ভালই   চলছিল।   বিদেশ   যাওয়ার   আনুমানিক   দুই   বছর   পর   এই প্রতারক ও ধোকাবাজ আইনজীবি আজমল হোসেন বিলাশ আমার সাড়ে   তিন   লাখ   টাকা   আত্মসাৎ   এর   পাশাপাশি   আমার   স্ত্রী নেহারুন   বেগমকে   ভূল   বুঝিয়ে   ও   ফুসলিয়ে   তার   সাথে   অনৈতিক     (পরকীয়া)   সম্পর্ক   স্থাপন   করে।   এই   প্রতারক   আমার স্ত্রীকে তার নিজের বাসায় না রেখে বাগানবাড়ি (বড়পাড়া রোড়ে) গোবিন্দপুরী মালিকের বাসায় ভাড়া নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মতো নিয়মিত আসা যাওয়া ও রাত্রিযাপন সহ বসবাস করে আসছে। প্রায়   তিন   বছর   পর দেশে   এসে   স্ত্রী   সন্তানের   খবর   নিতে   গেলে পরকীয়া প্রেমিক বিলাশ আমাকে আমার স্ত্রীর ভাড়া বাসা হতে বের   করে   দেয়।  বিভিন্নভাবে   আমাকে   প্রাণনাশের   হুমকি দিয়ে আসছে। আমি ছয় মাস ধরে আমার স্ত্রী ও সন্তানের সাথে যোগাযোগ করতে পারছিনা। তার ভয়ে আমি বর্তমানে আমার গ্রামের   বাড়ি   শান্তিগঞ্জের   জামলাবাজ   গ্রামে   বসবাস   করে আসছি।   

এ   ঘটনায়   আমি   জানমালের   নিরাপত্তা   চেয়ে   ২০২৩ সালের   ১৭ই   নভেম্বর   চরিত্রহীন   লম্পট   আজমল   হোসেন   বিলাশকে অভিযুক্ত   করে   সুনামগঞ্জ   সদর   মডেল   থানায়   একটি   লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। আমার দায়েরকৃত অভিযোগটি এসআই রিয়াজ   উদ্দিনের   কাছে   তদন্তাধীন   রয়েছে।   কিন্তু     দুঃখের   বিষয় অভিযোগ  দায়েরের   প্রায়  দুই  মাস  অতিবাহিত  হলেও   পুলিশের কোন   ভূমিকা   না   থাকায়   আমি   রীতিমতো   শংঙ্কিত   হয়ে পড়েছি। এই   অবস্থায়   একজন   অসহায়   সিএনজি   চালক   হিসেবে   আমার স্ত্রীর   নিকট   পাঠানো   ৫   লাখ   টাকা,   লম্পট   আজমল   হোসেন বিলাশের নিকট আমার পাওনা বাবত সাড়ে তিন লাখ টাকা উদ্ধার এবং তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করছি ।
 

একুশে সংবাদ/এস কে

Link copied!