‘আমাদের এইদিকে খুব শীত। সেই রকম ঠান্ডা। ঠান্ডার কারণে কামাই কমে গেছে। আমরা খুব কষ্টে আছি। চলমান শীতে কনকনে ঠান্ডায় এভাবেই নিজেদের দুর্ভোগের কথা জানালেন পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার উত্তর মেন্দা গ্রামের দিনমজুর আমিন হাওলাদার।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বাড়ির আঙিনায় আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা নেওয়ার চেষ্টা করছেন অনেকে। মৃদু বাতাসে আগুনের ধোঁয়া সদস্যদের চোখে লাগছিল। কিছু সময় পরপর তারা নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করে নিচ্ছেন। তবুও আগুনের পরশ ছেড়ে উঠছেন না কেউই।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম জানান, কয়েকদিনে জেঁকে বসেছে শীতের অনুভূতি। প্রতিদিনই তাপমাত্রা কমছে। এ জন্য বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। আগামী কয়েকদিন মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানান তিনি।
ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. আল-আমিন হোসেন বলেন, শীতের সময় কমন অসুখ হলো সর্দিজ্বর, কাশি। কয়েকদিন ধরে হাসপাতালের বহির্বিভাগে সর্দি-কাশি জনিত রোগী বেশি আসছেন। তাদের সতর্ক থাকতে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন জাহান বলেন, ‘ধানের বীজতলা রক্ষায় সকালে চারার ওপর থেকে শিশির সরিয়ে দেওয়ার জন্য কৃষকদের বলা হচ্ছে। সম্ভব হলে চারা রাতের বেলা ঢেকে দেওয়ার জন্যই আমরা বলছি। এ ছাড়া বীজতলায় সেচ দিয়ে পরদিন সকালে পানি বের করে দেওয়া এবং বীজতলা লাল হলে জিপসাম ও ইউরিয়া সার দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’
ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরাফাত হোসেন বলেন, ‘কম্বল বিতরণের উদ্যোগ নিচ্ছি। শীতে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের জন্য খাদ্য সহায়তা বিতরণসহ মানুষের কষ্ট দূর করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে।’
একুশে সংবাদ/সা.খ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :