AB Bank
ঢাকা রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

চিংড়ির রেনু আহরনে ধংস হচ্ছে পোনা


চিংড়ির রেনু আহরনে ধংস হচ্ছে পোনা

দেশের অন্যতম ভৌগোলিক উপজেলা বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে চলছে গলদা-বাগদা চিংড়ির রেণু সংগ্রহ। এই রেণু সংগ্রহ করতে গিয়ে ধ্বংস করা হচ্ছে প্রায় ১ হাজার মাছ ও জলজ প্রাণীর পোনা। সরকার বছরে কয়েকবার জেলেদের বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকেন,তারপরও কেন অবাদে এসব মাছের পোনা নিধন করছে সেটা বোধগম্য নয়। অনেকটা  প্রশাসনের চোখ ফাকি দিয়ে  চলছে এসব জলজ প্রাণীর ধ্বংসযজ্ঞ।

 

শুক্রবার (৯ জুন) দুপুরে সরেজমিন দেখা গেছে, নিষিদ্ধ মশারি  জাল দিয়ে জেলেরা চিংড়ি রেণু আহরণ করছেন। সেগুলো কিনে নিয়ে স্হানীয় ব্যাপারীরা দ্বিগুণ দামে বিক্রি করছে বাগেরহাটের বিভিন্ন চিংড়ি ঘের মালিকদের কাছে। রেণু সংগ্রহের কাজটি অবৈধ হলেও জীবিকার তাগিদে  প্রকাশ্যেই চলছে এ কাজ।

 

পানগুছি নদীতে মশারী নেট জাল দিয়ে মাছ ধরতে  দেখা যায় বছরের মে থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত। মাছের প্রজনন মৌসুম হওয়ায় পোনা ধরার ক্ষেত্রে সরকারি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।পানগুছি নদীর তীরবর্তী গ্রাম যেমন সোনাখালী, ঘষিয়াখালী, ফুলহাতা, পুটিখালি, বলই বুনিয়া, পঞ্চকরনের সুইচগেট, বারইখালী, সদর ইউনিয়ের খাওলিয়ার ভাঙা নামক এলাকা, খাওলিয়ার মধ্য বরিশাল সহ কয়েকটি গ্রামে প্রতিদিনই রেনু চিংড়ি পোনা আহরণ করা হচ্ছে। মোরেলগঞ্জের কয়েক হাজার মানুষ  চিংড়ি পোনা আহরণ করে এই সময়ে তাদের জীবিকা নির্বাহ করছে।

 

দেখা যায়, জেলেরা শুধু বাগদা-গলদা চিংড়ির রেণু সংগ্রহ করে অন্যান্য মাছের রেণু ও জলজ প্রাণী ফেলে দিচ্ছে। স্হানীয় ঘের মালিকরা এদের কাছ রেনু পোনা  সরবরাহ করছে।

 

শুক্রবার স্থানীয় একজন জেলে জানান, চিংড়ির রেণু সংগ্রহ করার সময় কোরাল, কাঁকড়া, চিরিং, বাইলা, তফসে, বাটা, চাপিলা, ফাসসে, টেংরা, পোয়া,কাঁচকিসহ অনেক প্রজাতির পোনাও ওঠে আসে। তারা শুধু চিংড়ি পোনা রেখে বাকিগুলো ফেলে দেন।

 

তিনি জানান, প্রতিটি চিংড়ির পোনার জন্য তারা ভালো দাম পান। কিন্তু অন্য মাছের পোনা বিক্রি হয় না তাই ফেলে দেই না হলে সাইজ একটু বড় হলে কাচকী মাছ হিসেবে বাজারে বিক্রি করে দেই। ছোট ছোট ঘের  যারা করে তারা এই পোনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। একটি গলদা বা বাগদা চিংড়ির রেণু সংগ্রহ করতে গিয়ে অন্য অনেক প্রজাতির মাছের পোনা ধ্বংস হয়ে যায়। এর সাথে ধ্বংস হয় অন্যান্য জলজ জীবের পোনা বা রেণুও।

 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মোরেলগঞ্জ উপজেলা  সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বিনয় কুমার রায় বলেন, আমরা প্রতি বছর অভিযান পরিচালনা করি। এ বছরও অভিযান চলবে। সব সময় না পারলেও মৌসুমের সময় মাঝে মধ্যেই অভিযান চালানো হয়। তিনি আরো জানান, মশারীর ঠেলা জাল দিয়ে এই রেণু সংগ্রহের কোন বৈধতা নেই। কিছু কিছু জেলেরা এই রেনু পোনা সংগ্রহ করে তাদের জীবন চালায়। এ ব্যাপারে অভি্যান পরিচালনা করা হবে।

 

একুশে সংবাদ/ফা.হ.প্র/জাহা

Link copied!