ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাংবাদিক ও কমিউনিকেশন অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগের শিক্ষার্থী ওয়াসিফ আল আবরারকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে শাহ আজিজুর রহমান হলে এ ঘটনা ঘটে।
জুলাই আন্দোলনের সময় আন্দোলনকারীদের ‘দুর্বৃত্ত’ আখ্যা দিয়ে সংবাদ প্রকাশ এবং ছাত্রলীগের সঙ্গে অতীতে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে শিক্ষার্থীদের একটি পক্ষ তার বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ ছিল বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আবরার দীর্ঘদিন শাহ আজিজুর রহমান হলে `অবৈধভাবে` অবস্থান করছিলেন। তাকে হল ছাড়ার অনুরোধ জানানো হলে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছনার ঘটনা ঘটে।
আবরার বলেন, “হঠাৎ কয়েকজন এসে আমাকে বের হতে বলে। আমি জিনিসপত্র গুছাতে গেলে তারা ফোন কেড়ে নিতে চায় ও পরে আমাকে অন্ধকারে মারধর করে।”
এ ঘটনায় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে রাত তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও প্রক্টরের মধ্যস্থতায় আলোচনা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. এ.টি.এম. মিজানুর রহমান বলেন, “ছেলেটির হলে কোনো অ্যাটাচমেন্ট নেই। তাকে হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সে সেটা না মানায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান বলেন, “প্রশাসন বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।”
একাধিক শিক্ষার্থী দাবি করেন, আবরারের অতীতে ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ততা, আন্দোলনের সময় বিতর্কিত ভূমিকা ও রিপোর্টারস ইউনিটি থেকে বহিষ্কারের বিষয়গুলোকে কেন্দ্র করেই ঘটনাটি ঘটেছে।
এদিকে, আবরারের পক্ষ নিয়ে ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী সামাজিক মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
একুশে সংবাদ//ইবি.প্র//এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :