সীমান্তের অধিকাংশ কৃষকের জমি উচু ভূমি আর এই উচু ভূমিতে আখ চষের ফলন হয় ভালো। বিগত বছরে আখ চাষ করে অনেনক কৃষক লাভবান হয়েছে। অল্প জমিতে অল্প খরচে আর্থিক ভাবে লাভবান হওয়ার কারণে অনেক কৃষকের দেখাদেখিতে বর্তমানে অনেক কৃষক আখ চাষের দিকে ঝুঁকেছে।
জানা যায়, ঝিনাইগাতি উপজেলার নলকুড়া, কাংশা ও ধানশাইল সহ বিভিন্ন এলাকায় কৃষকেরা ব্যপক আকারে আখ চাষ করেছে। গান্ধিগাও, ভালোকা, ডেফলাই, নওকুচি, দুধনই, পানবর, আইনাপুর সহ আরো অনেক এলাকার কৃষকরা আখ চাষের দিকে ঝুঁকছে ।
উল্লেখ্য অত্র অঞ্চলের অধিকাংশ কৃষকের জমির পরিমাণ কম ও উঁচু পাহাড়ি ভূমি। অন্যান্য ফসলের চেয়ে উচু ভূমিতে আখ ভালো ফলন হয়। অল্প জমিতে আর্থিক ফসল আখ হিসেবেই কৃষকরা দেখছে। তাই কৃষকেরা অল্প জমিতেই আখ চাষ করে অধিক টাকা উপার্জন করতে পারছে।
গত বছর ভালাকা গ্রামের সাইফুল ইসলাম ২০ শতাংশ জমিতে আখ চাষ করে ২ লক্ষাধিক টাকার উপরে আখ বাজারে বিক্রি করেছে। আখ চাষ লাভ জনক হওয়ায় সাইফুল এ বছরেও আরো বেশি জমিতে আখ চাষ করেছে। ভালোকা গ্রামে তার দেখাদেখি অনেক প্রান্তিক চাষি এ বছর আখ চাষ করেছে। বিগত বছরের চেয়ে এ বছর ৩ গুন বেশি জমিতে আখ চাষ করেছে অত্র এলাকার দরিদ্র ও প্রান্তিক চাষিরা।
সূত্র মতে জানা যায়, ফিলিপাইন ব্লাক নামের আরেকটি নতুন জাতের আখ চাষ শুরু করেছে কৃষকেরা। এই জাতের আখ ১২ মাস উৎপাদন করা যায়।
আখ চাষি রহিম জানান, ৫০ শতাংশ জমিতে ফিলিপাইন ব্লাক জাতের আখ চাষ করেছেন। বর্তমানে এই ৫০ শতাংশ জমির আখের নতুন জাতের বীজ হিসাবে বিক্রয় শুরু করেছে। তার এই নতুন জাতের আখ বিক্রয় মূল্য ৬ থেকে ৭ লক্ষ টাকা বিক্রি করে আয় করতে পারবে। উক্ত আখ খেত পরিদর্শনে যান ঝিনাইগাতি উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার।
এই নতুন জাতের আখ চাষি রহিমের আখ খেত দেখে তাকে আরো উৎসাহিত করেন। বর্তমানে ঐ আখ চাষির সফলতা দেখে অনেকেই আখ চাষের দিকে ঝুঁকছে। তাই অত্র অঞ্চলে লাভ জনক ফসল আখ অল্প জমিতে চাষ করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছে।
একুশে সংবাদ.কম/রা.হা.প্রতি/সা’দ
আপনার মতামত লিখুন :