বারি পেঁয়াজ-৫ নামের নতুন এই জাত উদ্ভাবন করেছে কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট। সেই সাথে শীত মৌসুমের জন্যও বারি পেঁয়াজ ৪ ও ৬ নামে দু’টি উচ্চ ফলনশীল জাতের চাষ শুরু হবে এ বছর।পেঁয়াজে আমদানি নির্ভরতা কমানোর জন্য শীতকালীন উৎপাদনের পাশাপাশি এবার গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উৎপাদনও শুরু করতে যাচ্ছে সরকার।কৃষি সচিব মেজবাহুল ইসলাম জানান, আগামী বছর থেকে শীত মৌসুমেও ৪ থেকে ৫ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ বেশী উৎপাদিত হবে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের হিসেব বলছে, বর্তমানে বাংলাদেশে ২৫ লাখ মেট্রিকটন পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়। আর ঘরে তোলার সময় নষ্ট হয় প্রায় আট লাখ মেট্রিকটন। অর্থাৎ বাজারে পাওয়া যায় ১৭ লাখ মেট্রিকটন। কিন্তু প্রতি বছর বাংলাদেশে পেঁয়াজের চাহিদা ৩০ লাখ মেট্রিকটন। বাকি ১৩ লাখ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়। যার ৮০ শতাংশই আসে ভারত থেকে।
কিন্তু এবারসহ পরপর দুই বছর ভারত আকস্মিকভাবে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ায় বেকায়দায় পড়ে যায় বাংলাদেশ। অস্বাভাবিক বেড়ে যায় দাম। তাই বাজার স্থিতিশীল রাখতে দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়ানোর কথা বলেছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
একই, অভিমত কৃষিমন্ত্রীরও। এমন বাস্তবতায় নিজস্ব উৎপাদন বাড়ানোর ওপর মনোযোগ দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। কাজে লাগিয়েছে নিজেদের উদ্ভাবনী শক্তিকে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের গবেষকরা শীতকালীন পেঁয়াজের পাশাপাশি গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের জাত উদ্ভাবন করেছেন। প্রথমবারের মতো আগামী গ্রীষ্ম মৌসুমে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে এই পেঁয়াজের চাষ হবে। তবে, এ বছর পরীক্ষামুলকভাবে চুয়াডাঙ্গা, নাটোর এবং মাগুরাতে নতুন জাতের এই পেঁয়াজের চাষ হয়েছে।
বর্তমানে শীতকালে দেশে ২ লাখ ৩৭ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। আগামী বছর থেকে আরও ১২ হাজার হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল পের্ঁয়াজ উৎপাদন হবে। উৎপাদন বেড়ে দাঁড়াবে ৪ থেকে ৫ লাখ মেট্রিকটনে।
প্রতি বছর যে আট লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ পঁচে নষ্ট হয়, তার পরিমাণ কমাতেও নেয়া হচ্ছে পদক্ষেপ।এছাড়া,পেঁয়াজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার লক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে চার বছরের রোডম্যাপ প্রনয়ন করা হয়েছে।
একুশে সংবাদ/তাশা