AB Bank
ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে বিভিন্ন কথা


Ekushey Sangbad

০৫:২৪ এএম, আগস্ট ১৭, ২০১৪
মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে বিভিন্ন কথা

একুশে সংবাদ : এরই মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে বিভিন্ন কথা ও অকথা হচ্ছে। তার মূলে আছে কিছু ব্যক্তির মুক্তিযুদ্ধের ৪০ বছর পর কিংবা চাকরি থেকে অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটি ভোগের পর সঠিক কিংবা বেঠিক তথ্যে মুক্তিযুদ্ধের সনদ সংগ্রহ করা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিলসহ তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। এ অল্প কিছুদিনে প্রায় ১৫২ মুক্তিযোদ্ধাকে তথাকথিত ও ভুয়া বলে চিহ্নিত করা হয়েছে, তাদের মধ্যে কয়েকজন কর্মরত সচিবও রয়েছেন। তাদের নিয়ে প্রতিটি পত্রিকা একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাদের সঙ্গে প্রকারান্তরে অন্যান্য চাকরিতে নিয়োজিতদের কথাও বলা হচ্ছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা নিয়ে আলোচনা করে যাচ্ছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে খানিকটা সময় লাগবে। তবে আপাতত বাতাসে প্রচারিত সংজ্ঞাটিকে নিয়ে কিছু বলতে আগ্রহী। মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক চিঠির ভাষ্য অনুসারে একজন গণকর্মচারী চাকরিতে প্রবেশের সময় যদি নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ঘোষণা না করে থাকেন তাহলে কিংবা যাদের নাম ভারতে সংরক্ষিত তালিকায় নেই কিংবা যাদের নাম মুক্তিবার্তায় স্থান পায়নি কিংবা যারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বাক্ষরিত সাময়িক সনদপত্র নেননি, তারা মুক্তিযোদ্ধা বলে গণ্য হবেন না। ওপরের সংজ্ঞাটিকে মেনে নিলে প্রথমেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও তার সুযোগ্য সহকর্মীরা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে চিহ্নিত হবেন না। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে চিহ্নিত হবেন না মুজিব বাহিনীর এক বিশাল অংশ যারা ভারতে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন, ভারত থেকে অস্ত্র নিয়েছিলেন এবং হারিয়ে যাওয়া খাতায় তাদের নাম লিপিবদ্ধ ছিল। আমি পূর্বাঞ্চল মুজিব বাহিনী সম্পর্কে এ কথা বলতে পারি যে, তাদের একজন যোদ্ধাও এ সংজ্ঞা মতে মুক্তিযোদ্ধা হতে পারবেন না বা মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিলেও কলমের খোঁচায় খারিজ হয়ে যাবেন। তাদের যে তালিকা ছিল বা যে তালিকার ভিত্তিতে তাদের অস্ত্র সরবরাহ করা হয়েছিল তার রেকর্ড মোস্তফা জামান বেবী আগরতলা থেকে নিয়ে এসেছিল। শেখ ফজলুল হক মনির নির্দেশেই এসব বই মোস্তফা জামান বেবী নিয়ে এসেছিল। কিন্তু '৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হলে মোস্তফা জামান বেবী সব রেকর্ড পুড়িয়ে ফেলে। আমার ধারণা, আমাদের মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হকও সে কথা জানেন। আমাদের মন্ত্রী এটাও জানেন যে, মুজিব বাহিনী হাফলং তান্দুয়া ও চাকরাতাতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের সিনিয়র লিডার বলা হতো। ইন্ডাকশনের সময় তাদের প্রতি নির্দেশ ছিল যে, তারা প্রত্যেকে অন্তত ১০ জনের একটি গেরিলা দল গঠন করবে এবং অনেক জায়গায় তা করেছিল। তাছাড়া প্রতিটি টিমের সহকারী হিসেবে কমপক্ষে পাঁচ-ছয়জন বেছে নেয়া হতো। তাদের কেউ পথপ্রদর্শক, কুরিয়ার, নিরাপদ আশ্রয় সৃষ্টিকারী, পাচক, সেবক, অর্থ সংগ্রহকারী, রাজনৈতিক মটিভেটরের ভূমিকা পালনসহ ঝাড়-জঙ্গল, পাহাড়বিহীন বাংলাদেশে গেরিলাদের জন্য মানব পাহাড় সৃষ্টি করেছিল। এরা কি মুক্তিযোদ্ধা না সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা? আর যারা ভারতে ট্রেনিং নিল না অথচ যোদ্ধা হিসেবে যে কোনোভাবে স্বীকৃত তাদের কী হবে? মুজিব বাহিনীর কথা বাদ দিলাম, তারা তো ছাই ফেলতে ভাঙা কুলো। কাদের বাহিনী, হেমায়েত বাহিনী, আফসার বাহিনী, বাতেন বাহিনীর প্রধান ও যোদ্ধাদের কী হবে? বাতেন তো প্রথমে মুজিব বাহিনীতেই ছিলেন। ইন্ডাকশনের পরে তিনি নিজের স্বতন্ত্র বাহিনী গড়ে তুলেছিলেন। গণকর্মচারী ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা যদি ঘোষণা না দিয়ে চাকরিতে প্রবেশ করে থাকেন তাদের বাদ রাখার একটা যৌক্তিক ভিত্তি আছে। কিন্তু এ ঘোষণাটি না দেয়ার যৌক্তিক কারণও থাকতে পারে। বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অনন্য বৈরী পরিবেশ ছিল। তখন ঘোষণা দেয়া অর্থ নিজেদের শত্রুর প্রতিহিংসার খোরাক করে দেয়া। কিন্তু বিগত অনেক দিন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় যারা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এত বছর ঘোষণা দেননি কিংবা চাকরির মেয়াদ শেষে কিংবা এলপিআর ভোগের পর মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট ক্রয় করেছেন, তাদের এক আলোচক ১০ জন রাজাকারের সমান বলে চিহ্নিত করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে কারও কোনো আপত্তি থাকবে না। তবে মুক্তিযুদ্ধের আগেই যারা চাকরিরত ছিলেন তাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে যোগদানের কি কোনো সুযোগ ছিল? আমি মুজিব বাহিনীর সদস্য ছিলাম। যুদ্ধের আগেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতায় ছিলাম। ৯ মাস পর চাকরিতে যোগ দিয়ে বকেয়া বেতনও পেয়েছি। আমার কি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ঘোষণা দেয়ার প্রয়োজন ছিল? এমন আরও অনেকে আছেন যারা মুক্তিযুদ্ধের পর নিজের চাকরিতে ফিরে এসেছেন এবং সরকার ঘোষিত সুবিধাদি ভোগ করেছেন, সেসব কি ফেরত নেয়া হবে? ট্রেনিংয়ের প্রশ্নে আসছি। ভারতে ট্রেনিং না নিয়ে যদি অন্যত্র ট্রেনিং নিয়ে কেউ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে থাকেন এবং যুদ্ধে অংশগ্রহণের প্রমাণ থাকে, তাহলে ওই যোদ্ধা কেন মুক্তিযোদ্ধা হবেন না? ভাগ্যিস আমি দ্বিতীয়বারের মতো দেরাদুনে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলাম। তার আগে আমি জুনিয়র ক্যাডেট কোর হিসেবে প্রাপ্ত অস্ত্রের ট্রেনিং নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ ও মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছিলাম। যার শুধু মুক্তিযুদ্ধের আগের ট্রেনিংটা ছিল এবং সেটা দিয়ে যুদ্ধ করেছেন তার কী হবে? সৈয়দ রেজাউর রহমান এখনও নিজেকে ট্রেনিংবিহীন মুক্তিযোদ্ধা বলে থাকেন। বর্তমান সংজ্ঞাটি কার্যকরী হলে তার কী হবে? দেরাদুনে প্রশিক্ষক হাসানুল হক ইনুর পরিচিতি কী হবে? আমরা যারা ৭৭ জন সিনিয়র মোস্ট লিডার হিসেবে ট্রেনিং নিলাম, যুদ্ধ পরিচালনা করলাম, খাতায় নাম না লিখে অস্ত্র নিয়ে গেলাম, তাদের কী হবে? তাদের দলে আমার প্রশিক্ষণকালীন রুমমেট অপরজন শহীদ শেখ জামালও ছিলেন, অন্যজন শেখ ফজলুর রহমান মারুফ এখনও জীবিত আছেন। তার স্ট্যাটাসটা কী হবে? বর্তমান সংজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে এমন বহু প্রশ্নের উদ্ভব হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেছেন, যারা চাকরির শেষভাগে এসে বা এলপিআরের পরও ঘোষণা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধার সনদ নিয়েছেন এবং সব সুবিধা ভোগ করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন। আমরা অখুশি হব না। মুক্তিযোদ্ধা নির্ধারণে উপরোক্ত চারটি ছাড়াও আরও দু-একটি মাপকাঠি ব্যবহার করা যায়। যেমন তারা জাতির পিতার হত্যার পর ইনডেমনিটি বিল বাতিলের আন্দোলনে ছিল কিনা, তারা ঘাতক দালাল নির্মূল আন্দোলনে শরিক ছিল কিনা, তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সপক্ষে নিয়োজিত ছিল কিনা? তাদের বয়সটাও বিবেচনায় নেয়া যায়। সেটা করলে বোঝা যাবে তারা মুক্তি সংগ্রামে জড়িত ছিল কিনা এবং যোদ্ধা হওয়ার যোগ্য ছিল কিনা। মন্ত্রী মহোদয় আরও বলেছেন, তিনি তালিকাবদ্ধ মুক্তিযোদ্ধাকে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য কমিটি গঠন করবেন, তাতে এলাকার এমপিকে প্রধান করা হবে। যদি এমপি সাহেব অমুক্তিযোদ্ধা হয়ে থাকেন তাহলে ওই এলাকার যুদ্ধকালীন কমান্ডারের মতামত নেয়া হবে। অতীতে এ জাতীয় কমিটির কিছু বৈষয়িক ও মনস্তাত্তি্বক প্রতিবন্ধকতা ছিল। আমার মামা আবদুল মতিন মাস্টার মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন। তার নামে একটি সড়কের নামকরণ করা আছে। তারপরও তাকে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এখনও প্রতিষ্ঠিত করা যায়নি। এ কথাও শুনেছি যে, তার ব্যাপারে ইতিবাচক প্রতিবেদন পেতে বখরার আয়োজন করতে হয়েছিল। আমার উপজেলা থেকে কোনো দিন কি আমাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দেখানো হয়েছে? কুমিল্লায় মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে বহু লেখালেখি হয়েছে; কিন্তু কোনো জায়গায় কি আমার কোনো সম্মানজনক উল্লেখ আছে? আমার কাছে ভারতীয় সহযোগীর চিঠি আছে; মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন গ্রন্থ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে '৭১ সালের রিপোর্টে আমার নাম আছে কিংবা আমি সার্বক্ষণিক মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে কাজ করেছি। তা না হলে আমার নামও মুক্তিবার্তায় স্থান পেত না এবং মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় স্থান পেত কিনা সন্দেহ। এবারে যদি আবার পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়, তাহলে মুজিব বাহিনীর সদস্য ছিলাম বলেই প্রথমে আমার নামটা বাদ দেয়া হবে। এরই মধ্যে শুনেছি সম্মানীপ্রাপ্তদের তালিকায় আমার নাম ওঠেনি। অবশ্য মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় আমি নাম ওঠাতে চাইনি। যুদ্ধকালে মুজিব বাহিনীর যে কোনো সদস্যের ডাইরেক্ট লেখা বারণ ছিল। যুদ্ধের পর সংসদের সদস্য হওয়া বারণ ছিল। শুধু ১৯৯৬ সালের পর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা অনেকে মুক্তিযোদ্ধার খাতায় নাম তুলেছি। আমরা যোদ্ধা নয় বরং রাজাকার, আলবদর, আলশামসদের তালিকা তৈরির কথা বলেছিলাম। আমাদের কথার গুরুত্ব দেয়া হয়নি, যার পরিপ্রেক্ষিতে আজকের এতসব কথা ও অকথা উপস্থাপিত হচ্ছে এবং ভুয়ারা মুক্তিযোদ্ধা সেজে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছেন এবং সময়-সুযোগ বুঝে মুক্তিযুদ্ধের বারোটা বাজিয়ে ছাড়ছেন। ভারতে ট্রেনিংপ্রাপ্তদের শুধু সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত করলে নতুন কোনো ক্ষণে হয়তো বলে বসবেন হিজরতকারী ছাড়া আর ৬.৫ কোটি সবাই রাজাকার-আলবদর। আমার কাছে এ মুহূর্তে ১৮২ জন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের তালিকা আছে। তারা আমার শিক্ষার্থী, তাদের যাচাইয়ের জন্য একটা পরীক্ষা দিয়েছিলাম। এ পরীক্ষাটা নৈর্ব্যক্তিক। তাদের মাত্র ৫২ জন পিতা বা মাতার মুক্তিযুদ্ধের ভূমিকার কথা লিখে জানিয়েছে। বাকিরা সার্টিফিকেট জমা দিলেও পিতামাতা সম্পর্কে কোনো কিছু পেশ করেনি। এ দিয়ে কি উপসংহার টানা সম্ভব? ১৮২ জনের ১০৩ জনই কি অমুক্তিযোদ্ধা? এসবের পর মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞাটি নিয়ে বক্ষ্যমাণ সংজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা কত হবে? সবাই বলেন সর্বোচ্চ ২ লাখ। পক্ষান্তরে পাকিস্তানিদের সংখ্যা নিয়মিত বাহিনীর ৯৩ হাজার ও সহযোগী হিসেবে প্রায় ৩ লাখ ছিল। এ সংখ্যক পাকিস্তানিকে পরাস্ত করতে প্রয়োজন ছিল ১৬ লাখ যোদ্ধা। তাহলে বাকি যোদ্ধাগুলো কারা? এ দিয়ে আমাদের শত্রু বা প্রতিপক্ষের কথা কি আমরা প্রকারান্তরে প্রমাণ করে ছাড়ছি না? অন্য আর একটি প্রসঙ্গে আসি। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে প্রায় ১ কোটি মানুষ ভারতে যেতে বাধ্য হয়েছিল। তাদের মধ্যে মাত্র ২ লাখ যদি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে থাকে, তাহলে বাকি ৯৮ ভাগ কী করেছিল? এ ব্যাপারে প্রতিপক্ষ ও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীদের ব্যাখ্যা আছে। আমরা কি প্রকারান্তরে প্রমাণ করছি না যে, ১৯৭১ সালের গ-গোলের সময় কিছু লোক মূল স্রোত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ভারতে গমন করে। তাদের একাংশ অর্থাৎ মুষ্টিমেয় দুষ্কৃতকারী, ইসলামের শত্রু, পাকিস্তানের শত্রু, কমিউনিস্ট, হিন্দুরা মুক্তিযোদ্ধা নামে দেশে প্রবেশ করে গোলমালটাকে জাগিয়ে রাখে এবং ভারতীয় বাহিনীর অনুপ্রবেশের মাধ্যমে দেশটাকে বিচ্ছিন্ন করে নেয়। বিপরীত পক্ষে জেনারেল জগজিৎ সিংহ অরোরাও স্বীকার করেছেন যে, পাকিস্তানের পরাস্তকরণের ৭৫ ভাগ কৃতিত্ব হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধাদের। সে ভিত্তিতে সশস্ত্র ও সহায়ক মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যাটি কি হিসাব করে জাতীয়ভাবে নির্ধারণ অসম্ভব এবং ভুয়াদের বিতাড়নের অন্য কোনো পন্থা কি অসম্ভব? ভুয়াদের ব্যাপারে বহুমুখী পরিমাপক ব্যবহার করা যায়। এর মধ্যে একটি হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের ৪০ বছর পর যারা চাকরির শেষ ভাগে উপনীত হয়ে কিংবা এলপিআর শেষ করে সনদ গ্রহণ করেছেন তাদের বাদ দেয়া যায়। অপ্রাপ্তবয়স্কদের বাদ দেয়া যায়, কেননা তাদের মুক্তি সংগ্রামে ও মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা থাকতে পারে না। তাদের বিগত দিনগুলোতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সপক্ষের কার্যাবলির বিশ্লেষণ তারা যদি আতকা (হঠাৎ) মন্দার (মজুমদার) হয়ে ওঠেন, তাহলে সন্দেহের তালিকায় তাদের তুলে নিয়ে নিবিড় যাচাই-বাছাই প্রয়োজন। একুশে সংবাদ ডটকম/আর/১৭-০৮-০১৪:
Link copied!