AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্কে দর্শণার্থী বাড়ছে


Ekushey Sangbad
একুশে সংবাদ ডেস্ক
০৫:১৪ পিএম, ২৮ নভেম্বর, ২০২০
বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্কে দর্শণার্থী বাড়ছে

গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে করোনা মহামারী ও শীতের প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যেও দর্শণার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। 

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শণার্থীরা পার্কের প্রাণি বৈচিত্র উপভোগ করতে আসছেন। দর্শণার্থীদের কেউ কেউ জানিয়েছেন শীতের উষ্ণ আবহাওয়ার কারণে পার্কের বিশেষ প্রাণিদের দেখা পাওয়া যায়নি।

শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে পার্কের টিকিট কাউন্টারে ছিল দর্শণার্থীদের ভীড়। বাধ্য বাধকতা থাকায় সকল দর্শণার্থী মাস্ক পরিহিত অবস্থায় পার্কে প্রবেশ করছেন। জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে পার্কের মুল প্রবেশ দ্বার থেকেই । কেউ বন্ধু-বান্ধব ও এলাকার লোকজন নিয়ে আবার কেউ সপরিবারে গাড়ী ভাড়া করে পার্কের প্রাণি বৈচিত্র পরিদর্শন করতে এসেছেন।

পাবনা সরকারি বুলবুল কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী রনি খান ও পাবনা পলিটেকনিক কলেজের শিক্ষার্থী নাসিম উদ্দিনসহ ১৩ জন বন্ধু শুক্রবার ভোর চারটার দিকে ওরয়ানা হন। সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে তারা জানান, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে তারা পার্কে এসে পৌঁছান । সামাজিক দূরত্ব বজায় ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে তারা পার্ক পরিদর্শন করেন। তারা জানান, সাফারী পার্কে করোনা মহামারীর মধ্যেও দর্শণার্থীদের অভাব নেই। উৎসাহী মানুষকে মহামারি করোনা ও শীতের প্রভাব প্রাণি বৈচিত্র পর্যবেক্ষণ করতে বাধা সৃষ্টি করতে পারেনি।

৫২ জনের একদল গ্রামবাসী বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার খন্দকারটুলা থেকে একটি বড় বাসে পার্ক পরিদর্শন করতে আসেন। দর্শণার্থী জিয়াউর রহমান ও রাব্বি জানান, করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন পার্ক এলাকা ছিল দর্শণার্থীশূণ্য। পার্কের ভেতরে গাছপালা, তরুলতা দেখে মনে হয়েছে তারা যেন নতুন করে জীবন ফিরে পেয়েছে। পশু পাখিগুলো দেখে মনে হয়েছে তারাও মানুষের বিচরণ থেকে কয়েকটি মাস আলাদা হয়ে যেন বনে ফিরে গিয়েছিল। সীমাবদ্ধ এলাকায় পশুপাখির বিচরণ থাকলেও প্রাণি বৈচিত্রে এর প্রভাব চোখে পড়েনি।

ইউনিক মেঘনা ঘাটের প্রকৌশলী হুজাইফা বলেন, তিনি সপরিবারে ময়মনসিংহ থেকে ঢাকায় ফিরছিলেন। পথিমধ্যে গাজীপুরের বাঘের বাজার এলাকায় আসলে ছেলে সজীব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে যাওয়ার বায়না ধরলে পার্ক পরিদর্শন করেন। জিরাফ, জেব্রা, ভল্লুকের দেখা মিললেও বিশেষ বেষ্টনীতে থাকা বাঘ, সিংহের দেখা পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, পার্কে প্রবেশের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য বিধি মানা হলেও বিশেষ বেষ্টনীতে গাড়ী চড়ার সময় সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না।

ট্যুরিস্ট পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহজাহান জানান, গত শুক্রবার ২ হাজারের বেশি দর্শণার্থী ছিল। পার্ক খোলে দেয়ার খবরটি বহুল প্রচার হলে দর্শণার্থী আরও বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। এ শুক্রবারে দর্শণার্থী সংখ্যা আরও বেশি হবে। 
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের সহকারী বন সংরক্ষক তবিবুর রহমান জানান, করোনা মহামারীর কারণে পার্কটি লকডাউনের আওতায় ছিল। চলতি নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে সরকারি নির্দেশে এটি খুলে দেয়া হয়েছে। 

এ মহামারিতে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি দর্শণার্থী আসছে। এ সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। সপ্তাহের মঙ্গলবার ছাড়া প্রতিদিন পার্ক খোলা রয়েছে। বিশেষ করে দিনের বেশিরভাগ সময় বাঘ সিংহ সুবিধাজনক স্থানে ঘুমিয়ে কাটায়। সে কারণে কোনো কোনো সময় এগুলো দর্শণার্থীদের চোখে পড়ে না।

একুশে সংবাদ /সানি/এস

Link copied!