জয় দিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু করার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমেছে শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকা। টি-২০ বিশ্বকাপের চতুর্থ ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে লড়ছে দক্ষিণ আফ্রিকা। যেখানে আগুনে বোলিং করে লঙ্কানদের রীতিমতো চেপে ধরেছে প্রোটিয়ারা।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শ্রীলংকার সংগ্রহ ১২ ওভারে ৬ উইকেটে ৪৬ রান।এমন ম্যাচে আগে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।
দলটির হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন পাথুম নিশাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিস। শুরু থেকে দেখেশুনে খেলেন এ দুই ব্যাটার।
ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই এ জুটিতে আঘাত হেনেছেন বার্টমেন। ইনিংসের চতুর্থ ওভারের প্রথম বলেই নিশাঙ্কাকে ক্লাসেনের তালুবন্দী করেছেন তিনি। আউট হওয়ার আগে ৩ রান করেন এ লঙ্কান ওপেনার।
পরে উইকেটে আসেন কামিন্দু মেন্ডিস। ব্যাট হাতে থিতু হওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন তিনি। নরকিয়ার পেসে পরাস্ত হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন তিনি। ১৫ বলে ১১ করেন এ বাঁহাতি ব্যাটার।
টপ অর্ডারদের ব্যর্থতা সামলাতে ক্রিজে আসেন অধিনায়ক হাসারাঙ্গা। কিন্তু মহারাজের ঘূর্ণিতে স্ট্যাম্পিং হয়েছেন তিনি। এতে শূন্য রানে সাজঘরে ফিরতে হয়েছে তাকে। পরের বলেই সাদিরা সামারাবিক্রমাকে (০) বোল্ড করেন মহারাজই। তবে সেই চাপ সামলে দলীয় রানের চাকা সচল রাখার চেষ্টা করে চারিথ আসালঙ্কা ও কুশল মেন্ডিস।কিন্তু এই দুই ব্যাটারও ফিরে গেলে চাপে পড়ে লংকানরা।
চলতি বছর তিনটি দ্বিপাক্ষীক সিরিজ খেলেছে শ্রীলঙ্কা। জিম্বাবুয়ে, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন সিরিজই ২-১ ব্যবধানে জিতেছে লঙ্কানরা। তাই দারুণ ছন্দে থেকেই বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে শ্রীলঙ্কা। কিন্তু বিশ্বকাপের আগে দু’টি অফিসিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচের মধ্যে ১টি করে জয় ও হারের স্বাদ পায় শ্রীলঙ্কা।
এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টিতে ১৭বার মুখোমুখি হয়েছে শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকা। এর মধ্যে প্রোটিয়াদের জয় ১১টিতে এবং লঙ্কানদের জয় ৫টিতে। ১টি ম্যাচ টাই হয়। টাই হওয়া ম্যাচে সুপার ওভারে জয় পায় প্রোটিয়ারা।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চারবার দেখা হয়েছে শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকার। এখানেও জয়ের পাল্লা ভারী প্রোটিয়াদের। তিনটিতে জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। শ্রীলঙ্কার জয় ১টিতে। ২০১২, ২০১৬ ও ২০২১ সালের বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছিল প্রোটিয়ারা। ২০১৪ সালে বিশ্বকাপের মঞ্চে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম জয়ের দেখা পায় শ্রীলঙ্কা।
দক্ষিণ আফ্রিকা দল: এইডেন মার্করাম (অধিনায়ক), ওটনিয়েল বার্টমেন, জেরাল্ড কোয়েৎজে, কুইন্টন ডি কক, জর্ন ফরটুইন, রেজা হেনড্রিকস, মার্কো জানসেন, হেনরিখ ক্লাসেন, কেশভ মহারাজ, ডেভিড মিলার, আনরিখ নরকিয়া, কাগিসো রাবাদা, রায়ান রিকেলটন, তাবরাইজ শামসি, ত্রিস্টান স্টাবস।
ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা (অধিনায়ক), চারিথ আসালঙ্কা, কুশল মেন্ডিস, পাথুম নিশাঙ্কা, সাদিরা সামারাবিক্রমা, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ, দাসুন শানাকা, ধনঞ্জয় ডি সিলভা, মহেশ থিকসানা, দুনিথ ওয়েল্লালাগে, দুশমন্ত চামিরা, মাথিশা পাথিরানা, নুয়ান থুসারা, দিলশান মাদুশঙ্কা।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :