ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ঘিরে বাংলাদেশকে নিয়ে প্রত্যাশার কমতি ছিল না বাংলাদেশের ক্রিকেট প্রেমীদের।আর থাকবেই না কেন, ওয়ানডে সুপার লিগে দাপট দেখানো দলটা ক্রিকেটের এই ফরম্যাটে সাম্প্রতিক কয়েক বছরে নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছিল ভালোভাবেই।
১০ দলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে টাইগাররা বাদ পড়ে গেছে সবার আগেই। লাইমলাইটে থাকা ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সে নাজুক পরিস্থিতি দলের ভরাডুবির বড় কারণ। দলের টানা ব্যর্থতায় সাকিবদের কচুকাটা করছেন সমর্থকরা।
সেই সাথে বিশ্বকাপে টানা পরাজয়ে ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলাই বাংলাদেশের জন্য এখন বৃত্তে আটকে গেছে!সবশেষ ২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। সেই টুর্নামেন্টে ৮ দলের মধ্যে ছিল বাংলাদেশ। এমনকি সেবার টাইগাররা সেমিফাইনালও খেলেছিল। যার ৮ বছর পর আবারও পাকিস্তানের মাটিতে ২০২৫ সালে হতে যাচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। এবারও খেলবে ৮টি দল। কিন্তু ব্যত্যয় ঘটেছে আইসিসির নতুন নিয়মে।
সেই নিয়ম অনুসারে, চলমান বিশ্বকাপের পয়েন্ট টেবিলে থাকা শীর্ষ সাত দল ও আয়োজক পাকিস্তান খেলবে আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। পাকিস্তান যদি ৯ এবং ১০ নম্বরে শেষ করে, তাহলে ওপরের নিয়ম মানা হবে। তা না হলে সরাসরি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলবে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ আট দল।
সে কারণে বিশ্বকাপের শেষ দুই ম্যাচে অনেক কিছুই নির্ভর করছে টাইগারদের জয়-পরাজয়ের ওপর। এই দুই ম্যাচের একটিতে জয় পেলেও তাদের তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য দলগুলোর দিকে। তবে দুটি জিতলেই সাকিব আল হাসানদের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলা প্রায় নিশ্চিত! সেরকমটা না হলে আগামী চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের দর্শক হয়েই থাকতে হবে। বাংলাদেশের সঙ্গে সর্বশেষ এমন ঘটনা ঘটেছিল ২০১৩ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে।
বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের মুখেও বেশ কয়েকদিন ধরেই বিষয়টি আলোচিত হচ্ছে। মূলত তারাও চাচ্ছেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে। অধিনায়ক সাকিব কয়েকবার বলেছেনও যে, তার একমাত্র লক্ষ্য এখন ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিশ্চিত করা।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :