১২ বছর পর বিশ্বকাপ ফের ভারতে । এবার ওয়ার্ম-আপ ম্যাচ নিয়ে মোট ১২টি শহরের ডজন ভেন্যু বেছে নেওয়া হয়েছে বিশ্বকাপ আয়োজন করার জন্য। ৫ অক্টোবর থেকে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত ৪৮ ম্যাচের বিশ্বযুদ্ধের আসর চলবে- আহমেদাবাদ , বেঙ্গালুরু , চেন্নাই , ধরমশালা, দিল্লি, হায়দরাবাদ, কলকাতা, লখনউ, মুম্বাই ও পুণেতে।
২০১১ সালের পর ভারত একবারও বিশ্বকাপ স্পর্শ করতে পারেনি। এবার ঘরের মাঠে রয়েছে সেই সুবর্ণ সুযোগ। `ক্রিকেট ঈশ্বর` শচিন টেন্ডুলকার আহমেদাবাদে গিয়েছিলেন বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে। কারণ তিনি চলতি কাপযুদ্ধে আইসিসি-র গ্লোবাল অ্যাম্বাসেডর। শচিন এখনই দেখতে পাচ্ছেন যে, কোন চার দল যাবে বিশ্বকাপের শেষ চারে।
`যদি আমাকে বলেন যে, বিশ্বকাপের শেষ চারে কাদের দেখছি, তাহলে প্রথমেই বলব ভারতের কথা। এই নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই আমার। খুব ভালো দল। ভীষণ ব্যালান্সড। দুয়ে আমি অবশ্যই অস্ট্রেলিয়ার কথা বলব। ভারতের ক্ষেত্রে যা বললাম, ওদের ক্ষেত্রেও সেটা প্রযোজ্য়। আমার তিন নম্বর দল ইংল্যান্ড। অত্যন্ত শক্তিশালী দল। অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের মিশেল রয়েছে। চারে রাখব নিউজিল্য়ান্ডকে। ওরা ২০১৫ ও ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ খেলেছে। যদি ওদের ট্র্যাক রেকর্ড দেখা হয়, তাহলে বোঝা যাবে যে, ওরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের আসরে সবসময়ে ভালো করেছে। আমি ওদের সেমিফাইনালে দেখছি।`
বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে শচিন এসেছিলেন আহমেদাবাদে। সেই অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন তিনি। শচিন বলেন, `সত্যি বলতে অতিন্দ্রীয় অভিজ্ঞতা হয়েছিল মাঠে ট্রফি নিয়ে আসার। ২০১১ সালের বিশ্বকাপে এই মাঠে আমরা অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে কোয়ার্টার-ফাইনাল ম্যাচ খেলেছিলাম। অসাধারণ ছিল সেই রাত। সেই স্টেডিয়ামেই আবার ফিরে এলাম ১২ বছর পর। ২০১১ বিশ্বকাপের আগে কোনও আয়োজক দেশই বিশ্বকাপ জেতেনি। সেই বছরের পর থেকে প্রতিবারই আয়োজক দেশ বিশ্বকাপ জিতেছে। ভারত ২০১১ সালের ঘটনারই পুনরাবৃত্তি ঘটাতে পারে। আমি এই আশাই করব। আমাদের দল খুব ভালো খেলছে। টিম যদি সহজ বিষয়টা সহজ রেখে, বেসিক কাজগুলো করে ফেলে, তাহলেই কিস্তিমাত করবে। আমাদের ব্য়াটিং লাইন-আপ খুব শক্তিশালী। তেমনই ভালো অল-রাউন্ড বোলিং আক্রমণ। আমাদের দলের ব্যালান্স খুব ভালো।`
দেখা যাক ভারত ফের দেশবাসীর মুখে হাসি ফোটাতে পারে কিনা!
একুশে সংবাদ/স ক
আপনার মতামত লিখুন :