সুযোগ হাতছাড়া করতে রাজি নন রোহিত শর্মা

ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা বুধবার নিজ দলের প্রশংসা করে বলেছেন ‘কোথায় ঝুঁকি নিতে হবে’ তা তিনি জানেন। তবে প্রত্যাশার চাপে পড়ে ঘরের মাটিতে আরেকটি বিশ্বকাপ জয়ের সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না তিনি।

আগামী রোববার চেন্নাইয়ে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে স্বাগতিক ভারত। দেশটির ক্রিকেট পাগল ভক্তরা দীর্ঘদিনের শিরোপা খরার অবসান ঘটাতে  এই দলটির দিকে তাকিয়ে আছে। ২০১৩ সালে সর্বশেষ বড় শিরোপা হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ট্রফি জিতেছিল ভারত।

এর আগে ২০১১ সালে এমএস ধোনির নেতৃত্বে দ্বিতীয় বারের মতো ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ শিরোপা জয় করেছিল ভারত। দেশটি প্রথমবার শিরোপা জিতেছিল ১৯৮৩ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে। বিশ্বকাপ টুর্নামেন্ট পুর্ব এক সংবাদ সম্মেলনে রোহিত বলেন,‘ দলীয় সদস্য হিসেবে কোথায় ঝুঁকি নিতে হবে আমি জানি। দলের সদস্যরাও জানে কোথায় ঝুঁকি নিতে হবে।

সুতরাং সবকিছু উজার করে দিতে  এটাই আমাদের সঠিক সময়।  একটি দল হিসেবে আমরা কি চাই সেদিকে মনোযোগ দিতে হবে। চাপ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। কারণ এখানে সব সময়ই চাপ থাকে।’

স্বাগতিক অধিনায়ক বলেন,‘ আমরা কারা খেলছি, সেটি নিয়ে ভাবার দরকার নেই। চারদিকে কি ঘটছে সেটি নিয়েও চিন্তা করবেন না। কারণ এখনই কিছুটা নিভৃতে কাটানোর উপযুক্ত সময়। সেই সঙ্গে মনোনিবেশ করতে হবে দল হিসেবে কি করতে চাই তার প্রতি।’      

সাদা বলের নেতৃত্ব ছাড়ার আগে দলকে বিশাল উচ্চতায় নিয়ে গেছেন সাবেক অধিনায়ক ও তারকা ব্যাটার বিরাট কোহলি। কিন্তু বিশ্বকাপের শিরোপা জিততে না পারায় সমালোচকরা প্রায়ই তার সমালোচনা করেন। দেশটির লাখ লাখ সমর্থকের চাপের মধ্যে থেকেও নির্ভার হয়ে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন রোহিত।

তিনি বলেন,‘ (দলের) সব সদস্যই এমন চাপের বিষয়ে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। সেটি ভারতে হোক কিংবা বাইরে । চাপ এমন একটা জিনিস যেটি কোন ক্রীড়াবিদই এড়াতে পারেন না। যতদিন আপনি খেলবেন ততদিনই চাপ থাকবে। সেটিকে একপাশে রেখেই নিজের দায়িত্বের প্রতি মনোযোগ দিতে হবে।’ 

আগের তিনটি বিশ্বকাপেই শিরোপা জয় করেছে স্বাগতিক দলই। ২০১১ সালে ভারত, ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়া এবং ২০১৯ সালে ইংল্যান্ড। তবে রোহিত বলেন,‘সেটি নিয়ে খুব বেশী ভাবছি না। বিশ্বকাপের সর্বশেষ তিন আসরে এমনটাই ঘটেছে। তবে আমি বলতে চাই নিজেদের সোরাটা দিয়ে খেলার চেস্টা করছি  আমরা। সেরাটা দাও এবং টুর্নামেন্ট উপভোগ কর।’

একুশে সংবাদ/স ক