এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্য়াচে পাকিস্তান বনাম শ্রীলঙ্কা মুখোমুখি হয়েছিল। গত বৃহস্পতিবার বৃষ্টিস্নাত কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মে ম্যাচের ভাগ্য় লেখা হয় টাইব্রেকারে! শ্রীলঙ্কা দুই উইকেটে জিতে ফাইনালে চলে যায়। হেরে যায় পাকিস্তান। যার ফলে কাপযুদ্ধের ফাইনালে ভারত-পাকিস্তানের খেলার আশা শেষ হয়ে যায়। আর এতেই ক্ষোভে ফুঁসছেন শোয়েব আখতার।
কিংবদন্তি পাক স্পিডস্টার আখতার তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে বলেন, `আপনারা ম্য়াচ দেখেছেন। পাকিস্তান টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গিয়েছে। ম্য়াচ পাকিস্তানের ফেভারেই ছিল। সেটা জমন খানই করেছিল। ও গতকালই এসেছে। পাকিস্তান সুপার লিগে ও কিন্তু দারুণ বল করেছে। পাকিস্তানের জেতার যাবতীয় সম্ভাবনা ওই তৈরি করেছিল। শাহিন আফ্রিদি বেশ কিছু উইকেট পেয়েছে। তবে জমনকে কৃতিত্ব দেব। ও সত্যিই খুব ভালো বল করেছে। পাকিস্তান এশিয়া কাপ ফাইনালে ওঠার দাবিদার ছিল। ওদের প্রচুর সমালোচনা করাই যায়। ওরা ফেভারিট ছিল।
কিন্তু এখন টুর্নামেন্টের বাইরে। দুর্ভাগ্যবশত কোনও ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল হবে না। কখনও ভারত-পাকিস্তানের ফাইনাল হয়নি। হতে পারে না। এবার সম্ভাবনা ছিল। তবে শ্রীলঙ্কা অনেক ভালো দল হিসেবেই ফাইনালে। এত কিছু বলার পরেও বলব, এটা অত্যন্ত অস্বস্তির হার। পাকিস্তান টুর্নামেন্ট থেকেই বেরিয়ে গেল। এটা দেখতে ভালো লাগছে না। পাকিস্তানকে অনেক কিছু ভাবতে হবে। অধিনায়কত্ব আরও ধারাল হতে হবে। আমি অত্যন্ত হতাশ। এর বেশি কিছু বলব না।`
প্রথমে শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তান ম্যাচ ৪৫ ওভারের হওয়ার কথা ছিল। ম্যাচ শুরুর আগেই বৃষ্টি ব্য়াট করতে শুরু করে দেয়। টসও হয় দেরিতে। এরপর যখন ম্যাচ শুরু হয়, তখন জানানো হয় যে, খেলা হবে ৪৫ ওভারের। মানে পাঁচ ওভার কমবে বৃষ্টির জন্য়। কিন্তু লাগাতার বৃষ্টির জেরে ৪২ ওভারে খেলা গড়ায়। এবার পাকিস্তান ২৫২ করেও তাদের রান হয়ে যায় ২৫১। এখন প্রশ্ন এক রান কমল কী করে! ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়মের অঙ্কে পাকিস্তানের একটি রান কেটে নেওয়া হয়। কেন এই রান কাটা হল? কারণ দ্বিতীয় দফার বৃষ্টিতে খেলা স্থগিত হওয়ার আগেই পাকিস্তানের চলে গিয়েছিল পাঁচ উইকেট। যার ফলে ২৫২ করেও তাদের রান হয় ২৫১। শ্রীলঙ্কার জয়ের টার্গেট হয়ে যায় ২৫২।
একুশে সংবাদ/স ক
আপনার মতামত লিখুন :