AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

সিঁড়ি-রাস্তায় জুমার নামাজ পড়লে নামাজ হবে কী?


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৩:২১ পিএম, ৩১ মার্চ, ২০২৩
সিঁড়ি-রাস্তায় জুমার নামাজ পড়লে নামাজ হবে কী?

ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার মতোই জুমাবার বা জুমা দিনের মর্যাদা ও ফজিলত এবং মুসলিম উম্মাহর কাছে সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিনও এটি।

 

রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলার কাছে জুমার গুরুত্ব ও মর্যাদা এত বেশি যে, তিনি কোরআনুল কারিমে এ নামাজ আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন। জুমার নামাজ শুক্রবার মসজিদে জামাতের সঙ্গে আদায় করতে হয়। কিন্তু এ ব্যাপারে একটি প্রশ্ন প্রায়ই শোনা যায যে, কেউ যদি মসজিদের সিঁড়ি কিংবা রাস্তায় দাঁড়ায় তবে তাদের নামাজ হবে কি?

 

জুমার দিন অনেক মুসল্লিকে শেষ সময়ে মসজিদে উপস্থিত হতে দেখা যায়। এতে মসজিদে দাঁড়ানোর জায়গা না থাকায় কিংবা মসজিদে ঢুকতে না পারায় অনেকে মসজিদের সিঁড়ি, সিঁড়ির সমতল জায়গায়, আঙিনা ও সম্মুখের রাস্তায় নামাজ পড়তে দাঁড়িয়ে যায়। এটি জুমা, ঈদ, জানাজা ইত্যাদি নামাজের ক্ষেত্রেই ঘটে। এমন অবস্থায় নামাজ হবে কি?

 

উত্তর হচ্ছে, হ্যাঁ! মসজিদের কাতার পূর্ণ হয়ে গেলে কোথাও জায়গা পাওয়া না গেলে নামাজ পড়া যাবে তবে এর জন্য শর্ত হলো নামাজের সামনের ফাঁকা স্থান যেন বেশি না হয়। যদি ফাঁকা বেশি থাকে এবং সামনে দিয়ে যান চলাচল করে, মানুষ বা প্রাণী আসা-যাওয়া করে তবে নামাজ বিশুদ্ধ হবে না। এ বিষয়ে ইসলামি আইন ও ফেকাহশাস্ত্রবিদেরা বলেন- ‘মসজিদের ভেতরের জায়গা পূর্ণ হয়ে গেলে, কাতার দাঁড়ানোর সুযোগ না থাকলে, মসজিদ সংলগ্ন সিঁড়ির সমতল জায়গায় এবং এর সম্মুখের রাস্তা ইত্যাদিতে নামাজে দাঁড়ানো যাবে। তবে মসজিদের কাতার অপূর্ণ রেখে এসব স্থানে দাঁড়ানো যাবে না।

 

ইসলামিক স্কলারদের মতে, মসজিদের কাতার পূর্ণ হয়ে গেলেও বাইরে রাস্তায়ে দাঁড়ানোর জন্য শর্ত হলো- ‘মসজিদের বাইরের কাতার ও মসজিদের মাঝে যানবাহন চলাচল করতে পারে- এ পরিমাণ ফাঁকা না থাকা। কেননা মসজিদের বাইরে এমন ফাঁকা রেখে দাঁড়ালে কাতারের সংযোগ না থাকার কারণে তাদের নামাজ সহিহ হবে না।’ (খুলাসাতুল ফাতাওয়া : ১/১৫১; মুখতারাতুন নাওয়াজিল : ১/২৯৬; রদ্দুল মুহতার : ১/৫৮৫)

 

একুশে সংবাদ/এসএপি

Link copied!