আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অপরাধে দলের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান থাকলেও এবার গ্রেপ্তার হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠজন—তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা এস এম মিজানুর রহমান।
বুধবার (৭ মে) রাত ১০টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে মিজানুর রহমানকে প্রথমে আটক করেন স্থানীয় শিক্ষার্থী ও পথচারীরা। পরে তাকে নিউ মার্কেট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। থানার ওসি মোহসীন উদ্দিন তার গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, এস এম মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় সংঘটিত একটি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মামলা রয়েছে। এই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
সূত্র মতে, জুলাইয়ে সংঘটিত ওই হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে এখন পর্যন্ত একাধিক মামলা হয়েছে এবং তদন্তে উঠে এসেছে মিজানুর রহমানের সরাসরি সংশ্লিষ্টতার তথ্য।
মিজানুর রহমান গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হচ্ছে, শেখ হাসিনার আশপাশের প্রভাবশালী ব্যক্তিরাও আইনের আওতায় আসছেন। এর আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ভাগ্নি ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে নিয়েও আইনি প্রক্রিয়া বা দেশত্যাগের খবর এসেছে।
আলোচিত এই গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে নানা আলোচনা চলছে। কেউ কেউ এটিকে বিচারের অংশ হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ বলছেন এটি রাজনৈতিক প্রতিশোধ। তবে পুলিশ বলছে, “আইনের ভিত্তিতেই” মিজানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
একুশে সংবাদ/চ.ট/এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :