AB Bank
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী
উপজেলা নির্বাচন

কালীগঞ্জ আওয়ামী লীগে বিভেদ তুঙ্গে


কালীগঞ্জ আওয়ামী লীগে বিভেদ তুঙ্গে

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কালীগঞ্জ আ.লীগ তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে বলে স্থানীয় নেতা কর্মীরা মনে করছেন। একপক্ষ স্বতন্ত্র সাংসদ আখতারউজ্জামান ও অপরপক্ষ সাবেক প্রতিমন্ত্রী, বাংলাদেশ মহিলা আ.লীগের সভাপতি বর্তমান সংরক্ষিত নারী আসনের এম.পি মেহের আফরোজ চুমকি’র অনুসারী। আরেকটি পক্ষ উভয় সাংসদের নেতৃত্বের বাইরে থেকে আ.লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে বড়সড় একটি বলয় তৈরি করে নির্বাচনি মাঠে নেমেছে। ফলে বিভক্ত উপজেলা আ.লীগের অভ্যন্তরীণ বিভেদ এখন তুঙ্গে। 

উভয় সাংসদ তাদের প্রার্থী সমর্থনের বিষয়টি অস্বীকার করলেও নেতাকর্মীরা বলছেন স্বতন্ত্র সাংসদ আখতারউজ্জামানের সমর্থন নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন জেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশরাফি মেহেদী হাসান। মেহের আফরোজ চুমকি’র সমর্থন নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা আ.লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান ও অপর প্রার্থী আ.লীগ নেতা ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন (স্বপন) স্থানীয় আ.লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের একটি বৃহৎ অংশের সমর্থন নিয়ে নির্বাচন করছেন। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী মেহের আফরোজ চুমকির পরাজয়ের পর উপজেলা আ.লীগে নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা করছে এম.পি আখতারউজ্জামানের অনুসারীরা। এ নিয়ে দুই সাংসদের অনুসারীদের মাঝে গত চার মাসে প্রায় অর্ধশতাধিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসমস্ত ঘটনায় উভয়পক্ষের প্রায় সাড়ে তিনশত নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

এ সকল হামলা-মামলার ঘটনায় উপজেলা আ.লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল চরম আকার ধারণ করেছে। আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে এ বিভেদ আরো বাড়বে বলে ধারণা করছে নেতাকর্মীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের একাধিক নেতৃবৃন্দ জানায়, এ অবস্থায় কোন সাংসদেরই কোন প্রার্থীর পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নেয়া উচিত নয়। যদি তাঁরা কোন প্রার্থীকে সমর্থন দেয় তবে দলীয় এ বিভেদ আরো বাড়বে ও দল সাংগঠনিকভাবে দুর্বল হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা আ.লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন সরকার বলেন, যেহেতু দলীয়ভাবে কাউকে মনোনয়ন দেয়া হয়নি, তাই দল থেকে কাউকে সমর্থন দেয়ার সুযোগ নেই।

সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মেহের আফরোজ চুমকি এম.পি প্রতিবেদককে বলেন, যেহেতু এটি দলীয় নির্বাচন নয় তাই দল কাউকে মনোনয়ন দেয়নি। জনগণ যাকে যোগ্য মনে করবে তাকেই নির্বাচিত করবে। 

পরে এ বিষয়ে সাংসদ বীরমুক্তিযোদ্ধা আখতারউজ্জামান প্রতিবেদককে মুঠোফোনে বলেন, নির্বাচনি আচরণবিধিতে সংসদ সদস্যদের কোন প্রার্থীকে সমর্থন দেয়ার সুযোগ নেই। তাই আমিও কোন প্রার্থীকে সমর্থন দেইনি।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!