আগামী নির্বাচনে নৌকার পক্ষে ভোট চেয়ে বিতর্কের মুখে পড়া জামালপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ইমরান আহমেদের বিরুদ্ধে সত্যতা যাচাই সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ শাখার সহকারী পরিচালক মো. আশাদুল হক এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, ঘটনার সত্যতা যাচাই সাপেক্ষে জামালপুরের জেলা প্রশাসক মো. ইমরান আহমেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
চিঠিতে বলা হয়, সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে যে, জামালপুরের জেলা প্রশাসক মো: ইমরান আহমেদ স্থানীয় সংসদ সদস্য জনাব মির্জা আজমের উপস্থিতিতে জনবহুল এক সভায় বক্তব্য রেখেছেন। বক্তব্যে তিনি উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগ সরকারকে পুনরায় নির্বাচিত করে ক্ষমতায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্য মির্জা আজমকে আগামী নির্বাচনের পর মন্ত্রী হিসাবে দেখার আশা প্রকাশ করেছেন। তার বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আসন্ন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রশাসনের কর্মকর্তাগণকে পক্ষপাতহীন নিরপেক্ষ আচরণ করতে হবে। এটি সংবিধান ও সংশ্লিষ্ট সকল আইনের অর্থ ও অর্ন্তনিহিত চেতনা। সংবিধানের ১২০ ও ১২৬ নং অনুচ্ছেদ এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৫ ও ৯১ (গ) নং অনুচ্ছেদসহ আরও বিভিন্ন আইন ও ধারায় এ বিষয়টি সুষ্পষ্ট। নির্বাচন বিষয়ে কমিশনের এখতিয়ার কেবল তপশিল ঘোষণার পর নয়, সকল সময় বিদ্যমান থাকে।
নির্বাচন নিয়ে ডিসি এমন কথা বলতে পারেন না: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী নির্বাচন নিয়ে ডিসি এমন কথা বলতে পারেন না: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী গত সোমবার জামালপুরের মাদারগঞ্জ পৌরসভার নবনির্মিত ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে নৌকার পক্ষে ভোট চান ডিসি মো. ইমরান আহমেদ। তার এ বক্তব্য মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যপক সমালোচনা শুরু হয়।
নির্বাচন কমিশন বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, জেলা প্রশাসকগণ সাধারণত রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসাবে নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করে থাকেন এবং নির্বাচনের সময় জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও পালন করে থাকেন। বর্ণিত অবস্থাধীনে সরকার, গণতন্ত্র, নির্বাচন ব্যবস্থা এবং নির্বাচন কমিশনের উপর জনমানুষের আস্থা অক্ষুণ্ণ রাখার স্বার্থে মো: ইমরান আহমেদকে, উক্ত ঘটনার সত্যতা যাচাই সাপেক্ষে, জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করে নেয়া এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনরূপ নির্বাচনী দায়িত্ব প্রদান করা থেকে বিরত রাখা সমীচীন হবে এবং একই সাথে জেলা প্রশাসকগণকে এ ধরনের আচরণ থেকে বিরত থাকতে সতর্কবার্তা দেয়া প্রয়োজন।
একুশে সংবাদ/ঢ.প.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :