রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে অপরাধ-জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) চার দশক উদযাপন উপলক্ষ্যে রোববার (২৩ জুলাই) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সরকার বাধা দিচ্ছে না। তাদের অভিযোগ মিথ্যা। বিনা অপরাধে কাউকে আটকও করা হচ্ছে না। যারাই অপরাধ করছেন, আইন অমান্য করছেন, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক টর্চার নয়, রাজনৈতিক চর্চার কথাই সব সময় বলছেন। রাজনৈতিক কর্মসূচিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বাধা প্রদান করছে না, বরং কর্মসূচির নামে আগুন, ভাঙচুরের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে, ধৈর্যের পরিচয় দিচ্ছে।’
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বিএনপি সুনিশ্চিত, তারা জানে যে, নির্বাচনে এলে তারা নির্বাচিত হবে না, নির্বাচনে জনগণ তাদের ভোট দেবে না। এজন্য তারা জনগণের কথা, দুর্ভোগ চিন্তা না করেই প্রতিদিন কোনো না কোনো কর্মসূচি দিচ্ছে, আন্দোলন করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য সুস্পষ্ট, একটি রাজনৈতিক দল আন্দোলন করতেই পারে। তাদের দলীয় নীতি ও মেনুফেস্টো অনুযায়ী তারা জনগণের কাছে যেতে চাইতেই পারে, সেজন্য তাদের বাধা দেওয়া হয় না। তারা রাজনৈতিক কর্মসূচি করছে, আবার বলছে যে আমরা নাকি তাদের বাধা দিচ্ছি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা সম্প্রতি আমাদের কাছে অনুমতি চাইলেন, ডিএমপি কমিশনের কাছে গেলেন যে, তারা তারুণ্যের সমাবেশ করতে চান। আমরা বলেছি, আমাদের কোনো আপত্তি নেই কিন্তু রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা যাবে না। রাস্তাঘাট বন্ধ ও যান চলাচল বিঘ্নিত করা যাবে না। তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে চাইলেন, সেখানেই তাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এরপরও তারা কীভাবে বলেন, সরকার তাদের সহযোগিতা করছে না?
বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ পর্যন্ত তাদের যত নেতাকর্মী গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সবার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট রয়েছে। তারা কোনো না কোনো মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। এ কারণে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছে।
লক্ষ্মীপুরে বিএনপি কর্মী নিহতের বিষয়ে জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, গোয়েন্দা বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে যতটুকু জানতে পেরেছি, দুই গ্রুপ বা ব্যক্তির মধ্যে কর্তৃত্ব ও অংশীদারিত্ব নিয়ে অসন্তোষ ছিল অনেকদিন থেকে। এই দুই গ্রুপের সম্পর্কটা এমন জায়গায় গিয়েছিল যে একজন নিহত হয়েছে।
ক্র্যাব সভাপতি মির্জা মেহেদী তমালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন র্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন, হাইওয়ে পুলিশ প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি এ কে এম শাহাবুদ্দিন খান ও ক্র্যাবের সাবেক সভাপতি আবু ছালেহ আকন, ডিআরইউ সভাপতি মুরসালিন নোমানী, সেক্রেটারি হাসান সোহেল,ক্র্যাবের সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদসহ ক্র্যাবের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
একুশে সংবাদ/ঢ/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :