বর্তমানে ছোট-বড় সবাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যস্ত সময় কাটান। এই প্ল্যাটফর্মগুলোতে যেমন পরিচিতদের সঙ্গে সারাক্ষণ যুক্ত করা যায় তেমনই অপরিচিতদের সঙ্গেও বন্ধুত্ব করা যায় সহজেই।
আবার যাদেরকে আপনার পছন্দ না তাদেরকেও সরিয়ে দিতে পারেন নিজের প্রোফাইল থেকে। তবে চাইলেও এতদিন যাদেরকে আনফ্রেন্ড করতে পারছিলেন না, আজ করে দিন। কারণ আজ আনফ্রেন্ড করার দিন।
‘আনফ্রেন্ড দিবস’ বিশ্বের অনেক দেশেই পালন করা হয় বেশ আনন্দের সঙ্গে। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই দিবস নিয়ে নানান স্ট্যাটাস ও লেখালেখি চোখে পড়ে।
২০১৪ সালে কৌতুক অভিনেতা জিমি কিমেল ‘আনফ্রেন্ড ডে’ প্রতিষ্ঠা করেন। দিনটি প্রচলনের উদ্দেশ্য ছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপরিচিত ও বিরক্তিকর ব্যক্তিকে বন্ধু তালিকা থেকে বাদ দেওয়া।
যাদের সারা বছর সহ্য করেছেন বা আজ কাল করে বন্ধু তালিকা থেকে বাদ দিতে পারছেন না আজ করে দিন। জানেন কি? ‘ভাইরাল’ বা ‘ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট’ শব্দগুলোর মতো ‘আনফ্রেন্ড’ শব্দটির প্রচলন শুরু হয় এই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকেই।
এর অর্থ হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার যে বন্ধু আছে তাকে আপনি আর বন্ধুর তালিকায় রাখবেন না। সোশ্যাল মিডিয়ায় বহুল ব্যবহৃত এই শব্দটি ২০০৯ সালে অক্সফোর্ড ডিকশনারির সেরা শব্দ ছিল।
যার সংজ্ঞা হলো- ফেসবুকের মতো সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইটে কাউকে ‘বন্ধু’ তালিকা থেকে বাদ দেওয়া। তবে এখন এটি খুবই পরিচিত শব্দ।
আপনিও উদযাপন করতে পারেন আজকের দিনটি। আজ একটু সময় নিয়ে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলো স্ক্রোল করুন। অপ্রয়োজনীয় প্রোফাইলকে আনফ্রেন্ড করে দিন।
প্রোফাইলে এমন সব বন্ধু থাকে যারা হয়তো আপনাকে বিরক্ত করছে না কিন্তু কোনো পাবলিক সাইড বা সেলিব্রেটির পোস্টে আজেবাজে কমেন্ট করছে এদেরও আনফ্রেন্ড করতে পারেন।
একুশে সংবাদ/জা.নি/না.স
আপনার মতামত লিখুন :