টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার আসামি সাবেক পৌর মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি আত্মসমর্পণ করে কি না, তা দেখে বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) আদেশ দেবেন আপিল বিভাগ।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বোরহান উদ্দিনর নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ সময় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট রক্ষা করতে হবে, প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি দেখতে হবে।
অ্যাটর্নি জেনারেল সর্বোচ্চ আদালতকে বলেন, মাই লর্ড জামিন পিটিশনে কোনো টেন্ডার নাম্বার ছিলো না। সেই সঙ্গে এই মামলা ৬ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির আপিল বিভাগের আদেশও গোপন করে সহিদুর রহমান মুক্তির আইনজীবী।
এ সময় আপিল বিভাগ বলেন, এই প্র্যাকটিস বন্ধ করতে হবে। বিকাশে পেমেন্ট নিয়ে সিরিয়াল আগানো বন্ধ করতে হবে। আপিল বিভাগ আরও বলেন, এই আসামি এর আগেও জামিন পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন যা ধরা পড়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও দেন।
এ সময় মুক্তির আইনজীবী বলেন, আসামি সহিদুর রহমান মুক্তি ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি আছেন। কাল এখান থেকে গিয়ে টাঙ্গাইল কোর্টে আত্মসমর্পণ করবেন।
গত বুধবার এই জালিয়াতির সংবাদ প্রচার করে চ্যানেল 24। এর জামিন জালিয়াতির এ ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয় বিচারাঙ্গনে।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ আগস্ট মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলার বিচারকাজ ছয় মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেন। আপিল বিভাগের নির্দেশনা গোপন করে ২০ নভেম্বর হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ থেকে সহিদুর রহমান খান মুক্তি জামিন পান। ওই আদেশ কারাগারে পৌঁছালে ২২ নভেম্বর তাকে মুক্তি দেয়া হয়।
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :