AB Bank
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

২৬ সেপ্টেম্বর শপথ নেবেন নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৩:১৮ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
২৬ সেপ্টেম্বর শপথ নেবেন নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি

আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর বেলা ১১ টায় বঙ্গভবনে দরবার হলে প্রধান বিচারপতি হিসাবে শপথ নেবেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। তাকে শপথ পড়াবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।  এ সময় মন্ত্রীপরিষদের সদস্যরা, আপিল বিভাগের বিচারপতি, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি সিনিয়র আইনজীবীরা উপস্থিত থাকবেন।

গত ১২ সেপ্টেম্বর দেশের ২৪ তম প্রধান বিচারপতি হিসাবে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি।  সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদের ক্ষমতা বলে তাকে প্রধান বিচারপতি পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। শপথের দিন থেকে এই নিয়োগ কার্যকর হবে বলে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ১৯৫৯ সালের  ১১ জানুয়ারি তারিখে নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম ডা. আখলাকুল হোসাইন আহমেদ মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। তিনি গণপরিষদ সদস্য হিসাবে স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের সংবিধান রচনায় সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন এবং সংবিধান রচনার পর তাতে স্বাক্ষর প্রদান করেন। বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে অর্থনীতি বিষয়ে এম.এস.এস. ডিগ্রি লাভ করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় হতে তিনি এলএল.বি. ডিগ্রী অর্জন করেন।

তিনি ১৯৮৬ সালে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভূক্ত হন। ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে এবং ২০০৫ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ১৯৯১ সালে বিচারপতি হাসান নিয়মিত আইনজীবী হিসেবে হংকং-এ অনুষ্ঠিত ‍‍`ইন্টারন্যাশনাল ল‍‍`ইয়ারস কনফারেন্স‍‍`-এ অংশগ্রহণ করেন। গণচীনের প্রকিউরেটর জেনারেলের আমন্ত্রণে বাংলাদেশের এটর্নি জেনারেলের সফরসঙ্গী হিসেবে যান।

১৯৯৭ সালে চীনের বেইজিংসহ বেশ কিছু নগরী ভ্রমণ করেন। বিচারপতি ওবায়দুল হাসান সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে ৫ (পাঁচ) বছর দায়িত্ব পালন করেন। এই সময়ের মধ্যে তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ এবং আপিল বিভাগে অনেক সাংবিধানিক মোকদ্দমা পরিচালনা করেন।

বিচারপতি হিসেবে যোগদানের আগে তিনি দেওয়ানি, ফৌজদারি এবং সাংবিধানিক বিষয়াদি সম্পর্কিত মোকদ্দমার একজন দক্ষ আইনজীবী হিসেবে ব্যাপক পরিচিত লাভ করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধানমণ্ডি ল‍‍` কলেজের একজন খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি ২০০৯ সালের ৩০ জুন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একজন অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে যোগদান করেন এবং ২০১১ সালের ৬ জুন একই বিভাগে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। তিনি ২০১২ সালের ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর একজন সদস্য হিসেবে যোগদান করেন এবং পরবর্তীতে ২০১২ সালের ১৩ ডিসেম্বর থেকে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওই ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

বিচারপতি হাসান অনেক দেশ ভ্রমণ করেছেন। যার মধ্যে অন্যতম- পাকিস্তান, নেপাল, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, হংকং, চীন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, বেলিজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড সৌদি আরব। তার একমাত্র ছেলে আহমেদ শাফকাত হাসান আইন বিষয়ক একজন গবেষক। তিনি যুক্তরাজ্যের ইনার টেম্পল থেকে বার-এট-ল করার পর ইউনির্ভার্সিটি অব ডারহাম থেকে আন্তর্জাতিক আইন বিষয়ে এলএল.এম.ডিগ্রী অর্জন করেন। বর্তমানে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি প্রোগ্রামে অধ্যয়নরত। তার স্ত্রী নাফিসা বানু বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের নির্বাহী বোর্ডের সদস্য (অর্থ) হিসেবে কর্মরত আছেন।

একুশে সংবাদ/এসআর

Link copied!