ভয় পেলে শুধু পা কাঁপে না, বুকও কাঁপে। হৃৎস্পন্দনের হার বেড়ে যায়। সমস্ত শরীর কাঁপে। লোম খাড়া হয়ে যায়।

ভয় আমাদের ‘ফাইট ও ফ্লাইট’ রেসপন্সকে এক্টিভেট করে। কোনো অপ্রীতিকর কিছু দেখে তার থেকে দৌড়ে পালানোর যে প্রবণতা তাকে বলে ফ্লাইট রেসপন্স। আর কোনো অপ্রীতিকর কিছু দেখে তার দিকে তেড়ে যাওয়া বা তার সাথে সরাসরি সংগ্রাম/দ্বন্দ্ব/মারামারিতে লিপ্ত হবার প্রবণতা হলো ফাইট রেসপন্স।

এই রেসপন্সগুলো নিয়ন্ত্রিত হয় সিমপ্যাথেটিক নার্ভাস সিস্টেম দ্বারা- যা স্পাইনাল কর্ড হতে উৎপন্ন অনেকগুলো নার্ভ/ স্নায়ু দ্বারা গঠিত। এই নার্ভগুলো দেহের বিভিন্ন অঙ্গের সাথে সংযুক্ত।

আর আমরা যখন ভয় পাই তখন মস্তিষ্ক এই স্নায়ুগুলোর মাধ্যমে সমস্ত অঙ্গে সংকেত পাঠায় ভয়ের জিনিসের সাথে ফাইট করতে (ফাইট রেসপন্স) কিংবা ভয়ের জিনিস হতে দৌড়ে পালাতে (ফ্লাইট রেসপন্স)। আর তখনই আমাদের হার্টবিট বাড়ে, চোখের মণি বড় হয়। আরো সব লক্ষণ দেখা যায়। ‘ফাইট বা ফ্লাইট’ প্রতিক্রিয়া দেখানোর সময় কোষ থেকে এড্রেনালিন নামক হরমোন ক্ষরণ হয়। আর এজন্য আমাদের মাংসপেশি তথা সমস্ত শরীরই কাঁপে ফাইট বা ফ্লাইট রেসপন্স দেখানোর জন্য।

আরো একটি কারণ আছে- তা হলো মাংসপেশিতে যে রক্ত সঞ্চালিত হয় সে রক্ত হতে হঠাৎ গ্লুকোজ মাত্রা কমে যায় বা গ্লুকোজ আলাদা হয়ে যায়। আর এজন্য আমরা কাঁপি। কারণ আমাদের মস্তিষ্ক চায় যাতে আমরা ভয়ের ব্যাপার হতে দৌড়ে পালাই বা ভয়ের ব্যাপারের সাথে যুদ্ধে নামি।
একুশে সংবাদ/ এসএডি



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

