রোজাদারদের রোজা পূর্ণতায় ইফতারের সময় এক গ্লাস শরবতের জুড়ি নেই। আর এই শরবত বানাতে দরকার পরে বরফের। পড়ন্ত বিকেলে ইফতারের আগ মূহুর্তে রাস্তার পাশে বরফ বিক্রি করছেন এক বিক্রেতাকে। আর এই বিক্রেতার কাছ থেকে ১০ টাকায় এক টুকরো বরফ কিনে প্রশান্তি কুড়াচ্ছেন রোজাদাররা। বলছিলাম, গোরখোদক হাসানের কথা।
বছরের ১১ মাস কবর খুড়েন হাসান তবে রোজার এই মাসে এখন তিনি বরফ বিক্রেতা। শুধু হাসান নয় রমজান আসলেই বরফ বিক্রি করেন এমন অনেকেই৷ বরফকে ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করে বিক্রি করছে সে। টুকরো ভেদে অবশ্য বরফের দামের মধ্যেও আছে ভিন্নতা। যেমন বরফের টুকরো ছোট হলে ১০ টাকা, বড় হলে ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি করা হয়। হাসান থেকে এমন বরফ কিনে খুশি ক্রেতারা। মূলত যাদের বাসায় ফ্রিজ নেই, তারাই হাসানের মত ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বরফ সংগ্রহ করে থাকেন। হাসান! বছরজুড়ে বরফের এই ব্যবসা না করলেও রোজার মাস আসলেই পুরোদমে বনে যান বরফ ব্যবসায়ী।
শুধু লাভের আশায় নয় রোজাদারদের মুখে তৃপ্তি বিলিয়ে দিয়ে আনন্দ পান তিনি আর এমনটাই জানিয়েছেন এই বিক্রেতা।
বন্দরনগরী চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ বেপাড়ী পাড়া মোড়ে হাসানের এই ভাসমান বরফ বিক্রির দোকান৷ মূলত রোযার মাস আসলেই দেখা যায় ভাসমান এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বরফ ব্যবসায়ীদের। তবে অন্য ব্যবসায়ী আর হাসানের মধ্যে রয়েছে অনেক পার্থক্য। হাসান পেশায় একজন গোরখোদক। বছরের ১২ মাসজুড়েই কবর খুড়েন তিনি। বিকেল ৫ থেকে ৬ টা পর্যন্ত বরফ বিক্রি করে আয় করেন ৩০০ থেকে সাড়ে তিনশ টাকা। হাসানের বাড়ি চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদে।
বরফ বিক্রি করে হাসান একদিকে যেমন আয় করছেন ঠিক তেমনিই আবার রোজাদারদের মাঝে বিলিয়ে দিচ্ছেন প্রশান্তি আর এমনটাই মনে করছেন বিক্রেতারা।
একুশে সংবাদ/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :