সুইজারল্যান্ড ও সিঙ্গাপুর থেকে দুই কার্গো বা ৬৭ লাখ ২০ হাজার এমএমবিটিইউ তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) কিনছে সরকার। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ২৪২ কোটি ৮০ লাখ ৯৫ হাজার ৬৮০ টাকা।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে বিস্তারিত তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সাঈদ মাহমুদ খান।
আজকে ক্রয় কমিটিতে অনুমোদনের জন্য ৬টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর মধ্যে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ২টি, কৃষি মন্ত্রণালয়ের ২টি, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ১টি এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ১টি প্রস্তাবনা ছিল। এর মধ্যে ক্রয় কমিটি ৫টি প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে৷ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবটি বাতিল করা হয়েছে। অনুমোদিত ৫টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ১ হাজার ৬৮২ কোটি ২৭ লাখ ১০ হাজার ৬৮০ টাকা।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীনে পেট্রোবাংলার ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) আইন-২০২১’-এর আওতায় স্পট মার্কেট থেকে (২০২৩ সালের ২০তম) এক কার্গো বা ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি সুইজারল্যান্ডের মেসার্স টোটাল এনার্জি গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেডের কাছ থেকে কেনার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৯৫ কোটি ৪৫ লাখ ৮৮ হাজার ৬৪০ টাকা। এ ক্ষেত্রে প্রতি এমএমবিটিইউর দাম পড়বে ১৩ দশমিক ৭৭ মার্কিন ডলার।
তিনি আরও জানান, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন পেট্রোবাংলার ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) আইন-২০২১’-এর আওতায় স্পট মার্কেট থেকে (২০২৩ সালের ২১তম) এক কার্গো বা ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়া পিটিই লিমিটেডের কাছ থেকে কেনা অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এত খরচ হবে ৬৪৭ কোটি ৩৫ লাখ ৭ হাজার ৪০ টাকা। সে হিসাবে প্রতি এমএমবিটিইউর দাম পড়বে ১৪ দশমিক ৯৭ সার্কিন ডলার।
এর আগে গত ৯ আগস্ট সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন পেট্রোবাংলার ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) আইন-২০২১’-এর আওতায় সুইজারল্যান্ডের টোটাল ইঞ্জিনিয়ারিং গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড থেকে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি ৪৭৮ কোটি ৬৩ লাখ ৫৩ হাজার ৯৩৬ টাকায় কেনার অনুমোদন দেয়া হয়।
একই দিন অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীনে পেট্রোবাংলার কক্সবাজারে মহেশখালীতে স্থাপিত এক্সিলারেট এনার্জি বাংলাদেশে লিমিটেডের নিকট থেকে ১৫ বছর মেয়াদে ১ থেকে ১ দশমিক ৫ এমটিপিএ এলএনজি ২০২৬ সাল থেকে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির আওতায় এলএনজি সরবরাহের প্রস্তাব প্রক্রিয়াকরণের নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়।
অপর এক প্রস্তাবে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীনে পেট্রোবাংলার কক্সবাজারে মহেশখালীতে স্থাপিত সামিট অয়েল অ্যান্ড শিপিং কোম্পানি লিমিটেডের কাছ থেকে ১৫ বছর মেয়াদে ১ দশমিক ৫ এমটিপিএ এলএনজি ২০২৬ সাল থেকে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির আওতায় এলএনজি সরবরাহের প্রস্তাব প্রক্রিয়াকরণের নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :