AB Bank
ঢাকা সোমবার, ০২ অক্টোবর, ২০২৩, ১৭ আশ্বিন ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণই প্রধান চ্যালেঞ্জ


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৫:৪৯ পিএম, ৮ জুন, ২০২২
বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণই প্রধান চ্যালেঞ্জ

আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৯ জুন) জাতীয় সংসদে বাজেট পেশ করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল। এবারের বাজেটে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে বৈশ্বিক টালমাটাল অবস্থায় নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখার কর্মকৌশলকে।বাজেটে রেকর্ড পরিমাণ ঘাটতি থাকলেও তুলে ধরা হবে বিনিয়োগের উচ্চাশা এবং কাজের সুযোগ তৈরির স্বপ্ন। আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা হতে পারে সাড়ে ৭ শতাংশ। আর মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরে সাড়ে ৫ শতাংশের ঘরে রাখতে চায় সরকার।

 

করোনা মহামারির জন্য গত দু বছর অর্থনীতির চাকা আশানুরূপ সচল ছিল না। আর যখন ঘুরে দাঁড়ানোর সময়, তখনই আঘাত হানলো রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। আর তাতেই পাল্টে গেছে অনেক হিসেবনিকেশ। যার ফলে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। এমন টানাপোড়েনের মধ্যে মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরার চ্যালেঞ্জ থাকছে এ বাজেটে।

 

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানান, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, কিছু কিছু ক্ষেত্রে অর্থ বরাদ্দ বাড়ালে ভালো হতো। কিন্তু বললেই তো হবে না, অর্থের সংস্থান থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর কৌশল হচ্ছে এই টাকা দিয়ে একটি অবলম্বন দেয়া যে, এই টাকা দিয়ে চাল কিনে খাও আর খেয়ে কাজে বের হও। যদি এমন পর্যায়ে দেয়া হয় যে, এটাই আয় হয়ে যায় তাহলে কাজে বের হবে না।

 

 

২০২২-২৩ অর্থবছরে বাজেটের সম্ভাব্য আকার ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা; যার অনুন্নয়ন খাতেই ব্যয় দুই তৃতীয়াংশ। আর উন্নয়ন খাতে  ব্যয় বরাদ্দ প্রস্তাব ২ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকা। তাছাড়া গুরুত্ব পাবে কৃষি, পরিবহন ও যোগাযোগ খাত। কিন্তু বাস্তবায়নে রয়েছে দুশ্চিন্তা।

 

বাজেট নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার অন বাজেট অ্যান্ড পলিসির পরিচালক অধ্যাপক ড. এম. আবু ইউসুফ বলেন, কোথায় টাকাটা খরচ হচ্ছে, সেই ট্র্যাকিং পাবলিক এক্সপেনডিচার বাস্তবায়ন করা উচিত এবং প্রস্তাবিত ব্যয়ের সাথে যেন প্রকৃত ব্যয়ের সামঞ্জস্য থাকে। তাছাড়া ডেভেলপমেন্ট বাজেটে ১৭-১৮’শ প্রকল্প থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কমিয়ে তেরশোতে নিয়ে আসা হয়েছে। আমরা মনে করি, একটা গুণগত পরিবর্তন এবারের বাজেটে থাকবে।

 

প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতি থেকে যাবে ২ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। বিশাল ঘাটতি মেটাতে আগামী অর্থবছরে এই উৎস থেকে ঋণ নেবার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে ১ লাখ ১২ হাজার কোটি টাকা। আর ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণ নেয়া হতে পারে ১ লাখ ৬ হাজার কোটি টাকা। রাজস্ব আয়ের সম্ভাব্য লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা। এজন্য এনবিআর’র সক্ষমতা বৃদ্ধির পরামর্শ দিচ্ছেন অর্থনীতিবিদরা।

 

সিপিডির ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ বছর আমাদের ঘাটতি বাজেটের যে চ্যালেঞ্জ হবে তা অন্যান্য বছরের তুলনায় কিন্তু বেশি হবে ও ঘাটতি অর্থায়নের চ্যালেঞ্জও হবে অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশি। সুতরাং, এই বছরই জাতীয় সম্পদ আহরণের পরিমাণ কীভাবে বৃদ্ধি করতে পারি, সেদিকে নজর দেয়ার সময়।

 

 

এই বাজেটে নেয়া হচ্ছে আয় বাড়ানোর কৌশল। কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ব্যাপক বিনিয়োগের পরিকল্পনাও থাকছে। বিনিয়োগের অংক দাঁড়াতে পারে ১৪ লাখ কোটি টাকায়। যা বিদায়ী অর্থবছরের বিনিয়োগ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪ লাখ ৩৯ হাজার কোটি টাকা বেশি। বেসরকারি বিনিয়োগ হতে পারে ১১ লাখ ৮ হাজার ৬০ কোটি টাকা আর সরকারি বিনিয়োগ ২ লাখ ৯৩ হাজার কোটি টাকা।

 

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল বলেন, এই বাজেটে উঁচু, নিচু, মাঝারি সবাইকেই বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। শিল্পায়নের ফলে উপকৃত হবে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। তাই তাদেরকেই আমরা প্রাধান্য দিচ্ছি।

 

তবে সাধারণ মানুষ বাজেটের জটিল হিসাবনিকাশ বুঝতে চায় না। তারা কেবল জানতে চায়, পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ধাক্কা কাটিয়ে যাপিত জীবনকে সহনীয় করতে কী অবদান রাখবে এই বাজেট, কীভাবে প্রসারিত হবে আয়ের পথ কিংবা, সংসারের খাদ্য নিরাপত্তা কতটা নিশ্চিত করবে এই বাজেট। আর এসব চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করাই হবে এবারের বাজেটের মূল লক্ষ্য।

 

একুশে সংবাদকম/য.ট.জা.হা

Link copied!