পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, ফারদিন ও ইভা কখনো পুলিশ কর্মকর্তা, কখনো বড় অফিসার আবার বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ফাঁদ পাততেন। পাঁচ তারকা হোটেলে পার্টির আয়োজন করে, অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি তুলে ব্ল্যাকমেইল করতেন তারা। এ চক্রের ফাঁদে পড়েছেন সরকারি কর্মকর্তাসহ অন্তত ২ শতাধিক নারী-পুরুষ।
পুলিশ আরো জানায়, ইভা মাদক সেবন করে পাঁচ তারকা হোটেল ও রিসোর্টে প্রতারণার ফাঁদ পাততেন। টার্গেট ছিল উচ্চবৃত্তরা। এরপর অন্তরঙ্গ সর্ম্পক ও আপত্তিকর ছবি তুলে করতেন ব্ল্যাকমেইল।
সম্প্রতি অভিনেতা, সংঙ্গীত শিল্পীসহ নানা পরিচয় দেওয়া ফারদিনকে প্রতারণার অভিযোগে আটকের পর ইভার নাম প্রকাশ্যে আসে। রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
ডিএমপি গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ জানান, ২০০৩ সালে ইভা বিয়ে করেন। তার ঘরে তিনটি সন্তানও আছে। উগ্র জীবনযাপনের কারণে তাকে ডিভোর্স দেন তার স্বামী। এরপর থেকেই নামেন প্রতারণায়।
তিনি আরো জানান, ফারদিন ও ইভার বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ১০টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেফতারেও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
একুশে সংবাদ/প্রে.রি/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :