চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার হাসাদাহ গ্রামের ভূষিপাড়া মাঠে সাড়ে তিন বিঘা জমিতে আঙুর চাষ করে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলেছেন দুই তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা — আশরাফুল ইসলাম ও তরিকুল ইসলাম।
এই জমিতে প্রায় ৭৫০টি আঙুর গাছ রোপণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই বাঁশের তৈরি মাচায় সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে থোকায় থোকায় ঝুলছে আঙুর। তবে এগুলো এখনো পরিপক্ব হয়নি। কৃষকদের আশা, এক মাসের মধ্যেই আঙুরগুলো রঙ পরিবর্তন করে লালচে হয়ে যাবে এবং খেতে হবে রসালো ও মিষ্টি।

আশরাফুল ইসলাম জানান, “আমাদের ৩৮ বিঘা জমিতে ড্রাগন, মাল্টা, পেয়ারা ও লেবুর বাগান রয়েছে। সব সময় নতুন কিছু করতে চেয়েছি। পরীক্ষামূলকভাবে আঙুর চাষ করে ভালো ফলন পাওয়ার পর বাণিজ্যিকভাবে সাড়ে তিন বিঘা জমিতে আঙুরের বাগান করি। এবার গাছে প্রচুর ধরেছে। প্রত্যাশা করছি প্রতিটি গাছ থেকে গড়ে ১৫ কেজি করে ফল পাব। এই বাগানে প্রায় ১৪ লাখ টাকা খরচ হয়েছে, আর বিক্রির সম্ভাব্য আয় প্রায় ৩০ লাখ টাকা।”
তারা আরও জানান, আগামী মৌসুমে আরও ১০ বিঘা জমিতে আঙুর চাষের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শিমুল পারভেজ বলেন, “আঙুর চাষে তাদের সব ধরনের কারিগরি পরামর্শ ও সহযোগিতা আমরা দিয়ে যাচ্ছি।”
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন বলেন, “জীবননগরের মাটি আঙুর চাষের জন্য বেশ উপযোগী। এ বছর উপজেলায় প্রায় ৩০ বিঘা জমিতে আঙুর চাষ হয়েছে। আশরাফুল ও তরিকুলের বাগানে যেভাবে ফলন এসেছে, তাতে তারা নিশ্চিতভাবেই লাভবান হবেন।”
এই সফলতার গল্পটি শুধু হাসাদাহ গ্রাম নয়, পুরো অঞ্চলেই অনুপ্রেরণার বাতিঘর হয়ে উঠছে।
একুশে সংবাদ//জী.চু.প্র//এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :