AB Bank
ঢাকা রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

মোরেলগঞ্জে মাছের উৎপাদন বেশী হলেও বাজারে আগুন


মোরেলগঞ্জে মাছের উৎপাদন বেশী হলেও বাজারে আগুন

পানগুছি নদী আর প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা। সুন্দরবনের অংশ বিশেষ রয়েছে এ উপজেলায়, সুন্দরবন আধ্যুষিত মোরেলগঞ্জে চাহিদার তুলনায় মাছের উৎপাদন বেশী হলেও বাজারে মাছের দাম ক্রেতাদের নাগালের বাহিরে। ফলে বেশী দামেই ক্রেতারা মাছ কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।

 

আবার বেশি দাম দিয়েও চাহিদানুযায়ী ভাল মাছ মিলছেনা। উৎপাদিত বেশীর ভাগ মাছ রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চলে যাওয়ায় স্থানীয় ভোক্তাদের বেশী দামে মাছ কিনতে হয়। সল্প আয়ের ক্রেতাদের মাছ কিনতে হিমসিম খেতে হয়

 

উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, মোরেলগঞ্জ উপজেলায় সাড়ে তিন লাখ  মানুষের জন্য বছরে  মোট মাছের চাহিদা ৬ হাজার ৮শত মেট্রিক টন।প্রতিবছর উৎপাদন  হচ্ছে ১০ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন। বছরে প্রায় ৪ হাজার মেট্রিক টন মাছ উদ্বৃত্ত উৎপাদন হচ্ছে। মাছ চাষ ও উৎপাদনের জন্য উপজেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ১০ হাজার খাল,বিল,পুকুর,জলাশয়, মাছের খামার রয়েছে। উপজেলায় মোট মাছ চাষীর সংখ্যা ১১ হাজার ২শত জন।

 

উপজেলার সবচেয়ে বড়  বাজার মোরেলগঞ্জ বাজার ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে প্রতি কেজি বোয়াল ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা, আইড় ১০০০ থেকে ১১০০ টাকা, ইলিশ বড় ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকা,মাঝারি ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা, কোড়াল ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা,গলদা  বড় ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা, শিং ৬০০ থেকে ৮৫০ টাকা, চিতল সাড়ে ৪০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে চাষের কৈ মাছ ২২০ থেকে ৩৮০ টাকা, রুই ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, কাতলা ২৫০ থেকে ৪৪০ টাকা, পাঙ্গাশ ৯০ থেকে ১৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০ থেকে ১৭৫ টাকা, দেশী পুঁটি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, টাকি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ও শৈল মাছ ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

গত পাঁচ বছরে উপজেলায় মাছের চাহিদা ও উৎপাদন সন্তষজনক হারে বেড়েছে। কিন্তু মাছের দাম বেড়েই চলছে,স্হানীয় বাজারে মাছ কিনতে আসা কয়েকজন জানান বাজারে কোল্ডস্টোরের মাছ কম দামে পাওয়া যায় যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর,তাজা মাছ কিনতে গেলে চোখ কপালে উঠে যায়,এতো দাম আগে কখনো ছিল না,বাজারের সিন্ডিকেটদের কাছে গ্রামীণ মৎসচাষীরা জিম্মি,গ্রাম থেকে বাজারে মাছ বিক্রি করতে আসলে তাদের আড়ৎদার সিন্ডিকেটের কাছে বিক্রি করতে হয়,সরাসরি মৎসচাষীরা মাছ বিক্রি করলে হয়তো মাছের দাম কিছুটা সাধ্যের মধ্যে থাকতো।

 

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা  বিনয় রায় জানান, উপজেলায় এবার প্রায় কয়েক লাখ টাকার মাছ উৎপাদন হয়েছে। এখানে উৎপাদিত মাছ দেশের মৎস্য সেক্টরে বিশেষ ভুমিকা রাখছে। উপজেলায় মাথাপিছু মাছের চাহিদা ৩০ গ্রাম,  উপজেলায় উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে  অভয়াশ্রম স্থাপন করা হয়েছে। প্রকৃত মৎস্য চাষীদের মাঝে সহজ শর্তে ঋন ও আইডি কার্ড বিতরণ, পোনা অবমুক্তকরন, জাল বিনিময় সহ নানা  কর্মসূচি পালন করা হয়,মাছের দাম সহনীয় পর্যায়ে বাজার মনিটরিং করা হবে

 

উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ভারপ্রাপ্ত)আব্দুল মালেক বলেন, বাজারে মাছের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে আমরা শীগ্রই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবো,সিন্ডিকেটের কারণে মাছের দাম বেড়ে গেলে সেইসব অসাধু মাছ ব্যাবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইন ব্যাবস্হা গ্রহন করা হবে।

 

একুশে সংবাদ/ফা.হ.প্র/জাহা

Link copied!