AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

খরা, তীব্র তাপদাহ আর অনাবৃষ্টিতে পাট চাষীদের মাথায় হাত


খরা, তীব্র তাপদাহ আর অনাবৃষ্টিতে পাট চাষীদের মাথায় হাত

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে খরা, তীব্র তাপদাহ আর অনাবৃষ্টির কারণে মরে যাচ্ছে পাটক্ষেত, মাটি ফেটে চৌঁচির হয়ে যাচ্ছে। গত দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে উপজেলার তাপমাত্রা থাকছে ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই খরতাপে জমি শুকিয়ে ফেটে যাচ্ছে। সময়মত পাট গাছের সঠিক বৃদ্ধি হচ্ছে না। ফলে চলতি মৌসুমে  চাষকৃত পাট নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক।  

 

উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কৃষকদের সাথে কথা বলে যানা গেছে প্রচণ্ড খরায় জমির মাটি ফেটে যাচ্ছে। পাটগাছ শুকিয়ে মরে যাচ্ছে। তপ্ত রোদ থেকে সোনালী আঁশ বাঁচাতে বাধ্য হয়ে জমিতে সেচ দিচ্ছেন অনেক কৃষক। কেউ পাটক্ষেতে নিড়ানি দিচ্ছেন, আবার কেউ সেচ দেওয়ার পরে জমিতে সার দিচ্ছেন।

 

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৯৯০ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল এবং তা অর্জিতও হয়েছে। এছাড়াও ৩ হাজার চাষিকে ১ কেজি করে প্রনোদনার পাটবীজ প্রদান করা হয়েছে।

 

ভূরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নের কামাত আঙ্গারীয়া গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, অনাবৃষ্টির কারনে প্রথমে পানি দিয়ে পাটচাষের পর থেকে দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় মাটি আবার  শুকিয়ে রস শূন‍্য হয়েগেছে। ফলে ডিজেল চালিত ইঞ্জিন ও বৈদ্যুতিক মোটরের সাহায্যে পুনরায়  সেচ দিতে হচ্ছে। প্রতিবার সেচ দিতে বিঘাতে খরচ হচ্ছে প্রায় ৪০০ টাকা। এতে উৎপাদন খরচ বাড়ছে।

 

উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের দুধকুমর নদী এলাকার কৃষক সুজল মিয়া বলেন, গত বছর পাটের ভালো দাম পেয়ে এবার ২ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি। অনাবৃষ্টির কারণে এবার ঘন ঘন সেচ দিতে হচ্ছে। তার পরও পাটগাছ বাড়ছে না। সব মিলিয়ে পাট নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।

 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুজন কুমার ভৌমিক জানান, চলতি মৌসুমে পাট চাষের শুরু থেকেই পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় প্রচণ্ড খরার কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। নিয়ম মেনে জমিতে সেচ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

 

নিয়মিত কৃষকদের খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

 

একুশে সংবাদ/এসএপি

Link copied!