AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

উল্লাপাড়ায় বছরের প্রধান আবাদের বোরো ধান কাটা শুরু


উল্লাপাড়ায় বছরের প্রধান আবাদের বোরো ধান কাটা শুরু

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় আগাম করে আবাদ করা বোরো (ইরি) ধান কাটা শুরু হয়েছে। বছরের প্রধান আবাদের এ ধানের ভালো হারে ফলন মিলছে। ধানের ফলনে কৃষকেরা খুশী। কৃষক সদর প্রামাণিক ব্রি-৫৮ জাতের ধানের ফলন পেয়েছেন বিঘা প্রতি ২৮ মণ হারে। বিভিন্ন এলাকায় ধান কাটা কাজে মজুরদের চাহিদা দিন যেতেই বাড়ছে।

 

উপজেলা কৃষি অফিস থেকে জানানো হয়, এবারের মৌসুমে উপজেলায় সরকারী লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে পাচ হেক্টর বেশী মোট ৩০ হাজার ২৫৫ হেক্টর পরিমাণ জমিতে বিভিন্ন জাতের বোরো ধান আবাদ হয়েছে। উপজেলার সলঙ্গা, রামকৃষ্ণপুর, বাঙ্গালা ইউনিয়ন এলাকায় বিভিন্ন মাঠে বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে।

 

গত কদিনে উপজেলার সলঙ্গা ইউনিয়নের গোজা, জগজীবনপুর, আঙ্গারু, বনবারিয়াসহ আরো কয়েক এলাকায় মাঠে কৃষকদেরকে ধান কাটতে ও বয়ে নিতে দেখা গেছে। কৃষকদের বাড়ীর উঠোন আঙ্গিনায় বোরো ধান মাড়াই করতে দেখা গেছে।

 

বনবারিয়া মাঠ এলাকায় একদল কৃষক ধান কাটার পর বয়ে বাড়ী নেয়াকালে প্রতিবেদককে বলেন, তারা বিঘা চুক্তিতে মজুরী খাটছেন। উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের রৌহাদহ গ্রামের ১৪ জন দলবেধে ধান কাটতে এসেছেন।

 

দলের প্রধান আনোয়ার হোসেন বলেন, এক বিঘা জমির ধান কাটা ও বয়ে কৃষকদের বাড়ীর উঠোন আঙ্গিনায় পৌছে দিতে তিন হাজার টাকা নিচ্ছেন। তারা বিঘা তিনেক জমির ধান কাটার পর তা বাড়ী বয়ে দিতে পারছেন। এদিকে পাচ থেকে সাড়ে পাচশো টাকায়  দিন হাজিরায় কোনো কোনো মাঠে মজুরেরা  ধান কাটছেন।

 

আঙ্গারু, জগজীবনপুর, বনবারিয়ার বেশ কজন কৃষক জানান, তারা আগাম আবাদের বোরো ধান কেটে ঘরে তুলছেন। এবারে ভলো হারে ধানের ফলন পাচ্ছেন। এক বিঘায় আঠারো থেকে বাইশ মণ হারে ফলন মিলছে বলে জানানো হয়। কোনো কোনো জাতের ফলন আরো বেশী হারে মিলছে বলে জানা গেছে।

 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সূবর্ণা ইয়াসমিন সুমী বলেন, এরই মধ্যে  প্রায় তিন হাজার  হেক্টর পরিমাণ জমির ধান কাটা হয়েছে। দিন যেতেই ধান কাটার জমির পরিমাণ বাড়ছে। সব মাঠেই কৃষকেরা তাদের আবাদের বোরো ধানের ভালো হারে ফলন পাচ্ছেন । উপজেলার সলঙ্গা ইউনিয়নের দিয়ারপাড়া গোজা গ্রামের সদর প্রামাণিক ব্রি -৫৮ জাতের ধানের আবাদ করে বিঘা প্রতি ২৮ মণ হারে ফলন পেয়েছেন। একই গ্রামের কৃষক মণ্টু সরকারের শুবলতা জাতের আবাদ করে এক বিঘায়  ২৭ মণ হারে ফলন  হয়েছে। একই ইউনিয়নের ছোটো গোজা গ্রামের লিটন মিয়ার ব্রি -২৮ জাতের বিঘা প্রতি ২২ মণ, পূর্ণিমাগাতী গ্রামের জহুরুল ইসলাম কাটারীভোগ ধান আবাদ করে বিঘা প্রতি ১৮ মণ হারে ফলন পেয়েছেন।

 

তিনি আরো বলেন, জাত ভেদে বিঘা প্রতি ফলনের পরিমাণ কম বেশী হচ্ছে।

 

একুশে সংবাদ/এসএপি

Link copied!