কচিকাঁচার মেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আনন্দানুষ্ঠান
একুশে সংবাদ: কচিকাঁচার মেলার আজ শুভ জন্মদিন।’কেন্দ্রীয় কচিকাঁচার ৫৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মেলার মিলনায়তনে শুক্রবার দিনব্যাপী আনন্দানুষ্ঠান শুরু হয়।
সমবেত কণ্ঠে পরিবেশনের সঙ্গে সঙ্গে মেলার প্রাক্তন সদস্যরাও আবেগে জড়িয়ে পড়েন। করেন স্মৃতি রোমন্থন।সাংস্কৃতিক পরিবেশনা শেষে যখন আলোচনা পর্ব শুরু হয়, তখন শিশুরা জানার সুযোগ পায় ইতিহাসগর্বিত এ প্রতিষ্ঠানটি সম্পর্কে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন দৃঢ়প্রত্যয়ে উচ্চারণ করেন, ‘কচিকাঁচার মেলা সৃজনশীল প্রতিভা বিকাশের লক্ষ্যে করছে শিক্ষাদান। তাই এখানের কোনো সদস্য রাজাকার হয়নি, হয়েছেন শহীদ। মানুষ হওয়ার পরিপূর্ণ শিক্ষা দেয় যে প্রতিষ্ঠান, তা বিশ্বের যে কোনো সফল ইতিহাসের উপকরণ হতে পারে।’
উদ্বোধনী পর্বের সভাপতির বক্তব্যে কচিকাঁচার মেলার চেয়ারম্যান ড. খন্দকার ইব্রাহীম খালেদ বলেন, ‘আমরা শিশুদের তিনটি ভালোবাসা শেখাই। ভাষা, দেশ ও মা। এই তিনটি বিষয়ের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থেকে শিশুরা এখানে প্রতিনিয়ত বিচরণ করে এক সময় পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠে।’
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মেলার ছোট্ট বন্ধু নোহা। মেলার বিস্তারিত তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় কচিকাঁচার মেলার সাধারণ সম্পাদক আলপনা চৌধুরী।
বক্তারা কচিকাঁচার মেলার প্রতিষ্ঠাতা রুকনুজ্জামান দাদা ভাই, সুফিয়া কামাল, আবদুল্লাহ আল মতি, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন, পল্লীকবি জসীম উদদীনসহ অন্যান্যদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
আলোচনা শেষে শুরু হয় শিশুদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে পরিবেশিত হয় আবৃত্তি, নাচ, গান ও নাটিকা।
বিকেলে স্মৃতিবিজড়িত ভিডিও ক্লিপস পরিবেশন শেষে সংস্থার প্রাক্তন সদস্যরা তাদের স্মৃতি বিজড়িত নানা-কথাও ও অভিজ্ঞতার আলোকে শিশুদের উদ্দেশে বক্তব্য প্রদান করবেন। কথা বলবে আজকের শিশুরাও।
সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আলপনা চৌধুরী জানান, নবীন ও প্রবীণ ভেদ ঘুচিয়ে একটি সুন্দর সমন্বয় তৈরি করাই আমাদের লক্ষ্য। আর এ জন্যই এ আয়োজনটি এভাবে সাজানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কচিকাঁচার মেলার জন্মদিন ছিল ৫ অক্টোবর। এবার ওই সময় শারদীয় দুর্গাপূজা ও পবিত্র ঈদুল আজহা থাকায় ১৭ অক্টোবর এ দিনটি উদযাপন করা হচ্ছে।
একুশে সংবাদ ডটকম/প্রতিনিধি/মামুন/১৭.১০.২০১৪
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :