কক্সবাজারে নয়নাভিরাম সৌন্দর্যমণ্ডিত নতুন পর্যটন স্পট “নিভৃতে নিসর্গ”। চকরিয়া উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নস্থ মাতামুহুরি নদীর কোলঘেঁষে এই পর্যটন স্পটের জন্ম। দীর্ঘদিন ধরে অঘোষিত ছিল সম্ভাবনাময় এই পর্যটন স্পট। কোনো ধরণের পৃষ্ঠপোষকতা না পাওয়ায় এই স্পটটি নিভৃতে রয়ে যায়।
চকরিয়া উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নস্থ মাতামুহুরি নদীর কোলঘেঁষে নয়নাভিরাম সৌন্দর্যমণ্ডিত নতুন পর্যটন স্পট “নিভৃতে নিসর্গ” এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপিত হয়েছে। দুইপাশে সুউচ্চ পাহাড়ের মাঝ দিয়ে আকাবাকা নদীপথ বয়ে চলা এই নিভৃত পর্যটন স্পট। নৌকাভ্রমণে কিছুদূর গেলেই চোখে পড়বে শ্বেত পাথরের বিশাল পাহাড়। চারদিকে পাখির কলরব।দেখা মিলবে বিচিত্র পশুপ্রাণীর।নিরব নিস্তব্ধতা ভেঙে পাখীরা ছটছে এদিক সেদিক।
গত ২০২০ সালের ২৬ ডিসম্বর কক্সবাজার তৎকালীন জেলা প্রশসাক মো: কামাল হোসেন এই নিভৃতে পর্যটন স্পট ঘোষণা করেন।
যেভাবে যাবেন: চট্টগ্রাম থেকে ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণে কক্সবাজার থেকে ৬৫ কিলোমিটার উত্তরে চকরিয়ার চিরিঙ্গা নামতে হবে।সেখান থেকে মাতামুহুরি নদীর পার ঘেষে ১২ কিলোমিটার অটোরিকশা, টমটম নিয়ে জন প্রতি ২০/৩০ টাক দিয়ে পৌঁছে যাবেন সুরাজপুর মানিকপুর। সেখান থেকে নৌকায় চড়ে ঘুরে বেড়াতে পারেন নিভৃতে নিসর্গ।প্রাণ ভরে উপভোগ করতে পারবেন মাতামুহুরি নদীর কূলঘেষা দুই পাহাড়ের মাঝ খানে শ্বেত পাথরে সজ্জিত স্বচ্ছ জল প্রপাত।দেখতে ঠিক যেন, একটি বিশাল সুইমিং পুল। প্রকৃতি নিজের হাতে নিপূণ ভাবে এই জলধারা সাজিয়ে রেখেছেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন দিন দিন এই নিভৃত নিসর্গে পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে। ঠিক ঠাক প্রচারণা পেলে এটিই হয়ে উঠবে ছন্দময় অপূর্ব পর্যটন স্পট।
কী খাবেন: সেখানে পাবেন মানিকপূরের টাটকা মহিষের দই এবং টাটকা পাঁকা পেপে।ছোট খাট রেস্তোরাঁয় বসে মন যা চায় অল্প দামে খেতে পারেন। তবে একে বারে মধ্যবিক্ত ঘরোয়া পরিবেশে। মাতামুহুরি নদীর রুই,কাতলা ও গলদা চিংড়ি পাবেন খাবার আইটেমে।
কোথায় থাকবেন: সেখান থেকে ২০/২৫ মিনিটে চলে আসতে পারেন চকরিয়া পৌরশহর চিরিঙ্গায়। সেখানে মাঝারি মানের বেশ কয়েকটি হোটেল আছে।দাম ও নাগালের মধ্যে।তবে যে কোন সময় মাত্র এক ঘন্টায় চলে আসতে পারেন কক্সবাজার জেলা শহরে। ৫ থেকে ৬ ঘন্টা সময় হাতে রেখেই যেতে পারেন নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক নৈসর্গিক নিভৃত নিসর্গের সৌন্দর্য উপভোগ করতে।
সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নস্থ মাতামুহুরি নদীর কোলঘেঁষে এই পর্যটন স্পট “নিভৃতে নিসর্গ” কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প কে আরো একধাপ সমৃদ্ধ করেছে বলে মনে করে প্রাণ প্রকৃতি প্রেমী পর্যটকরা।
একুশে সংবাদ.কম/ড.ব/বি.এস
আপনার মতামত লিখুন :