AB Bank
ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

জনবল সংকটেও বসে নেই ভোক্তা অধিদপ্তর, জরিমানা ৬ কোটি


Ekushey Sangbad
মুহাম্মদ আসাদ
১২:৩৪ পিএম, ১৫ মার্চ, ২০২৩
জনবল সংকটেও বসে নেই ভোক্তা অধিদপ্তর, জরিমানা ৬ কোটি

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর গত বছর ১২ বছরে এখন পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩০টি ফোনে ও লিখিত অভিযোগ পেয়েছে। এরমধ্যে ২০২২ থেকে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৫ হাজার ৬৮৮টি লিখিত অভিযোগ করা হয়।

 

গত বছর ১২ বছরে ভোক্তা অধিদফতরে লিখিত অভিযোগ এসেছে ৮৮ হাজার ৯১৮টি। এর মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে ৮৩ হাজার ৭৯৮টি।গত ১২ বছরে ভোক্তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে ৮ হাজার ৩২৮টি প্রতিষ্ঠানকে ৫ কোটি ৮৫ লাখ ৮ হাজার ৮০৮ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এই জরিমানা থেকে ২৫ শতাংশ হিসেবে ৮ হাজার ১৯৭ জন ভোক্তা পেয়ছেন ১ কোটি ৪৩ লাখ ৬৫ হাজার ৫৭৭ টাকা।  জনবল সংকটের মধ্যে ভোক্তা অধিদপ্তর প্রতিদিন অভিযান চালাচ্ছে। আর এর সুফল অবশ্যই পাচ্ছে ভোক্তারা।

 

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ভোক্তা অধিকার জানায়, সারা দেশে ভোক্তা অধিকারের কার্যক্রম পরিচালনায় সাড়ে ৪ শতাধিকের মতো জনবল প্রয়োজনের বিপরীতে সংস্থাটি চলছে ২১৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে। ১৬১২১ নম্বরটি ২০২১ সাল থেকে চালু করা হয়। ভোক্তা অধিকারের ল্যান্ডফোন, মুঠোফোন এবং হটলাইনসহ একাধিক নম্বরে প্রতিদিন কয়েক হাজার ফোন কল আসে।

 

 ২০২১-২২ এবং ২০২৩ সাল এই তিন বছরে হটলাইনটিতে ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫৩০টি অভিযোগ আসে। জনবলের বরাদ্দ রয়েছে ৩৬৬ জনের। সারা দেশে ৮টি বিভাগের ৬৪টি জেলা পর্যায়ে জেলা অফিসগুলোতে একজন সহকারী পরিচালক এবং কম্পিউটার অপারেটর নিয়ে জেলার সেটআপ রয়েছে।   এদিকে ভোক্তা অধিকারে ২০১০ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ২০০ লিখিত অভিযোগ আসে। ২০১৪ থেকে ২০১৫ সালে ৩০০, ২০১৫-২০১৬ সালে ৬৬২টি, ২০১৬-২০১৭ সালে ৬১৪০টি, ২০১৭-১৮ তে ৯০১৯টি, ২০১৮-১৯ এ ৭০০০, ২০১৯-২০ সালে ৯০০০, ২০২০-২১ সালে ১৪ ৯১০টি, ২০২১-২২ সালে ২৫ ৩ ৪৬টি এবং ২০২২-২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৫৬৮৮টি লিখিত অভিযোগ আসে।

 

গত ১৮ই জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে ভোক্তার অধিকার আদায়ে কনজ্যুমার কমপ্লেইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিসিএমএস) সফটওয়্যার এবং ওয়েব পোর্টাল চালু করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। ভোক্তাদের অভিযোগ সহজ উপায়ে অনলাইনে জানানোসহ দ্রুততার সঙ্গে সেই অভিযোগ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে সিসিএমএস ওয়েব পোর্টাল চালু করা হয়। পোর্টালটি চালু করার পর এখন মার্চের ১৩ তারিখ পর‌্যন্ত পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার অভিযোগ এসেছে।

 

২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে গত ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত ভোক্তা অধিকার মোট ৬২ হাজার ৯টি বাজার অভিযান পরিচালনা করেছে। যার মধ্যে দন্ডিত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬০টি। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে ১০২ কোটি ৯৫ লাখ ৭৫ হাজার ৭৪২ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

 

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, সারা দেশে আমাদের ২১৬ জন জনবল রয়েছে। আমাদের সদরদপ্তরসহ ৮টি বিভাগের পাশাপাশি ৬৪টি জেলায় জেলা অফিস রয়েছে। মূলত জেলা অফিসে একজন অভিযান পরিচালনা কর্মকর্তা এবং একজন কম্পিউটার অপারেটর রয়েছে। দুজন করে জনবল রয়েছে একটি জেলায় এবং অন্য অনেক জেলায় খালি রাখা হয়েছে। সেখানে ১০ থেকে ১২টি উপজেলায় অভিযান কার্যক্রম পরিচালনা করা কোনোভাবেই যথেষ্ট নয়। ৪৬৫ জন জনবল বৃদ্ধির জন্য আমরা কাজ করছি ।

 

তিনি বলেন, আমাদের জনবল সংকট আছে।তবে অধিদপ্তরের জনবল বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আশা করব, দ্রুত এ বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসবে। জনবল সংকট থাকলেও আমরা কিন্তু বসে নেই।  দেশের মানুষ দেখছে, এখন সারা দেশের বাজারে ভোক্তা অধিদপ্তর প্রতিদিন অভিযান চালাচ্ছে। এর সুফল অবশ্যই পাচ্ছে ভোক্তারা।

 

কনজিউমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, দেশের জনগণের সরাসরি দেখভাল করার একমাত্র প্রতিষ্ঠান ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদপ্তর। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ খুবই ভোক্তাবান্ধব। কিন্তু জনবল সংকটের কারণে এই আইনের সুফল পাচ্ছে না ভোক্তা। তাই প্রতিষ্ঠানটির জনবল বাড়াতে হবে। শুধু জনবল বাড়ালেই হবে না, ভোক্তার স্বার্থ রক্ষায় সারা দেশে আরো জোরালোভাবে অধিদপ্তরের কার্যক্রম চালাতে হবে।

 

ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, শুধু জনবল বাড়ালেই হবে না, কর্মকর্তাদের দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণেরও প্রয়োজন রয়েছে। কারণ বাজার অভিযানের সময় অনেক পণ্যের গুণাগুণ ও মান যাচাই করতে হয়। যথাযথ প্রশিক্ষণ না থাকায় এ ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হয়। বিশেষ করে ই-কমার্স নিয়ে সংকটের সময় উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়েছে অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের। কারণ এর আগে কখনো এই জটিল পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়নি তাঁদের। এ বিষয়ে  যথাযথ জ্ঞানও নেই কর্মকর্তাদের।

 

বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জনবল নিয়োগের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। অনেক কাজ এগিয়েছে, দ্রুত ভোক্তা অধিদপ্তরে জনবল বাড়ানো হচ্ছে।

 

একুশে সংবাদ.কম/আ.জ.প্র/জাহাঙ্গীর

Link copied!