২০১৯-এর ২০ সেপ্টেম্বর বীরভূমের লোকপুর থানার গাংপুর গ্রামে প্রথম বিস্ফোরণটি ঘটে। বিস্ফোরণে বাবলু মণ্ডলের বাড়ির টিনের চাল উড়ে যায়। ওই বছরেরই ২৯ অগাস্ট সদাইপুর থানার রেঙ্গুনি গ্রামে হাইতুন্নেসা খাতুনের গোয়ালঘরেও দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি ঘটে।সিআইডি দুই বিস্ফোরণ কাণ্ডেরই তদন্ত শুরু করে। পরে এনআইএ তদন্তভার গ্রহণ করে।
তবে কেন্দ্রীয় সংস্থা রাজ্যের থেকে নথি না পাওয়ার অভিযোগ করে। এই অভিযোগে বিশেষ আদালতের দ্বারস্থ হয় এনআইএ।রাজ্যকে নির্দেশ দেয় বিশেষ আদালত নথি দেওয়ার জন্য। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য।
সেই মামলাতেই গত ১৮ এপ্রিল এই নির্দেশ দেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি বিভাস পট্টনায়কের ডিভিশন বেঞ্চ।নির্দেশ দেওয়ার ক্ষেত্রে কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, "আইন অনুযায়ী এই ধরনের ঘটনা ঘটলে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা,এনআইএ কে একটা প্রাথমিক রিপোর্ট পাঠায়।সেই রিপোর্ট বিবেচনা করে তদন্ত করার বা না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। কিন্তু এই দুই ঘটনার ক্ষেত্রে, সেই রিপোর্ট পাঠানো হয়নি। যেহেতু রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থার থেকে এনআইএ -র বিস্তৃতী আরও বেশি।
সেজন্য কলকাতা হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় সংস্থা এনআইএ -কে ন্যায় বিচারের স্বার্থে, দুই মামলার তদন্তভার দেওয়া হল।এনআইএ-কে অতিদ্রুত দুই বিস্ফোরণ মামলার সমস্ত নথি হস্তান্তর করতে হবে, আদালতের নির্দেশ সিআইডিকে।
একুশে সংবাদ / জি24 / এস.আই