AB Bank
ঢাকা সোমবার, ২০ মে, ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

চকচকে চাল খাওয়া বন্ধ করলেই দাম কমবে: খাদ্যমন্ত্রী


Ekushey Sangbad
একুশে সংবাদ ডেস্ক
০২:৪৮ পিএম, ৯ মে, ২০২৪
চকচকে চাল খাওয়া বন্ধ করলেই দাম কমবে: খাদ্যমন্ত্রী

ভোক্তারা চকচকে চাল খাওয়া বন্ধ করলে চালের দাম কমবে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। পাশাপাশি চাল রফতানি করাও সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) একটি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে এক কেজি চালও আমদানি করতে হয়নি; বরং চাহিদার চেয়ে বেশি উৎপাদন হয়েছে। এখন আমরা অনায়াসে ৫-৭ লাখ টন চাল রফতানি করতে পারি, সে অবস্থা হয়েছে।’

তবে শুধু পালিশ করে যে চাল নষ্ট হচ্ছে সেটা অর্ধেক রফতানি করলেই হবে উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, উৎপাদিত প্রায় চার কোটি টনের মধ্যে তিন শতাংশ হারে প্রায় ১২ লাখ টন চাল পালিশ করার কারণে অপচয় হচ্ছে। আমাদের চাল পাঁচ দফা পালিশ করে চকচকে করা হচ্ছে। দুবার পালিশ করলেও ৫-৭ লাখ টন চাল বাড়বে।

‘দফায় দফায় পালিশ করায় চালের মধ্যে শুধু কার্বোহাইড্রেট ছাড়া অন্য কোনো পুষ্টি থাকছে না জানিয়ে তিনি বলেন, এতে খরচ হচ্ছে বিদ্যুৎ, শ্রমিকের মজুরি - সবকিছু মিলে প্রতি কেজিতে প্রায় চার টাকা। যে ভার ভোক্তাকে বহন করতে হচ্ছে। চালের দামে এ খরচ যুক্ত হচ্ছে।’

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নতুন আইন করে এ পালিশ বন্ধ করছি, মিনিকেট বা বিভিন্ন নামে চাল বাজারজাত করাও বন্ধ করেছি। ভোক্তাদের আমি বলব, আপনারা চকচকে চাল খাওয়া বন্ধ করুন। তাহলে যেমন চালের দাম কমবে, আমরা চাল রফতানি করতেও সফল হব। এ আইন কার্যকর হওয়ার পর আগামী আমন মৌসুম থেকে চাল পালিশ করলে মিলমালিকরা জরিমানার শিকার হবেন। আসুন, সকলের প্রচেষ্টায় আমরা চাল রফতানির প্রস্তুতি নেই।’

এদিকে, দেশে এক অঙিনায় খাদ্য, কৃষি যন্ত্রপাতি, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও স্বাস্থ্য পর্যটন নিয়ে একসঙ্গে আটটি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। সেমস-গ্লোবাল ইউএসএর আয়োজনে তিনদিনের এ আয়োজন চলবে শনিবার পর্যন্ত।

একযোগে শুরু হওয়া এসব প্রদর্শনী হচ্ছে: ৭ম ফুড বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো, ৪র্থ ফুড প্যাক এক্সপো, ৭ম এগ্রো বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো এবং ৭ম পোল্ট্রি অ্যান্ড লাইভস্টক বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো, ১৫তম মেডিটেক্স বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো, ১০তম ফার্মা বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো, ৮ম বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল ল্যাব এক্সপো এবং ৭ম ইন্টারন্যাশনাল হেলথ ট্যুরিজম অ্যান্ড সার্ভিসেস এক্সপো বাংলাদেশ।

কৃষি ও প্লাস্টিক শিল্প জগতের অত্যাধুনিক সরঞ্জাম, উন্নত প্রযুক্তি, পণ্য এবং পরিষেবা বিষয়ক এ প্রদর্শনীগুলোতে বাংলাদেশ, তুরস্ক, ভারত, সিঙ্গাপুর, জার্মানি, দক্ষিণ কোরিয়া, শ্রীলঙ্কা ও চীনসহ ১৫টির বেশি দেশের প্রায় ১০০টি কোম্পানি অংশ নিচ্ছে।

এছাড়া স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে উন্নত প্রযুক্তি ও সেবা নিয়ে স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান, দেশি-বিদেশি হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের সহযোগিতা বিষয়ক প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ, ভারত, চীন, সিঙ্গাপুর ও জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশের ১১২টি কোম্পানি অংশ নিচ্ছে।

বৃহস্পতিবার  (৯ মে) থেকে শনিবার (১১ মে) প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ব্যবসা সংশ্লিষ্ট দর্শনার্থীদের জন্য এসব প্রদর্শনী উন্মুক্ত থাকবে।


একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা 

Link copied!