AB Bank
ঢাকা রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

জানুয়ারিতে ৫২১ দুর্ঘটনা , মৃত্যু ৪৮৬


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৫:২৯ পিএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
জানুয়ারিতে  ৫২১ দুর্ঘটনা , মৃত্যু ৪৮৬

চলতি বছরের জানুয়ারিতে দেশে ৫২১টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় প্রাণহানি হয়েছেন ৪৮৬ জন। তাদের মধ্যে শুধুমাত্র মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৭০ জন। এ সময়ে আহত হয়েছেন আরও ১ হাজার ৫৪ জন।

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ পথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে তারা।

সংস্থাটি জানিয়েছে, ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে (পঙ্গু হাসপাতালে) ১ হাজার ১৫৩ জন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪৭২ জন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৭৭১ জন, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫৫৮ জন, নারায়ণগঞ্জে খানপুর হাসপাতালে ৪২০ জনসহ মোট ৩ হাজার ৩৭৪ জন যাত্রী ও পথচারী সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে জরুরি বিভাগে ভর্তি হয়েছেন। যদিও মাসটিতে হাসপাতালের ভর্তি রোগীর তথ্যে আহতের সংখ্যার ভিন্নতা পাওয়া গেছে।

প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সর্বমোট ৫৭২টি দুর্ঘটনায় ৫৩৪ জন নিহত এবং ৪ হাজার ৪৬২ জন আহত হয়েছেন। এই মাসে রেলপথে ৪৪টি দুর্ঘটনায় ৪২ জন নিহত ও ২১ জন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে ৭টি দুর্ঘটনায় ৬ জন নিহত, ১৩ জন আহত এবং ৩ জন নিখোঁজ হয়েছেন। মোট ৫২১টি সড়ক দুর্ঘটনার মধ্যে ১৬৪টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ছিল। এসব দুর্ঘটনায় ১৭০ জন নিহত, ১৭৩ জন আহত হয়েছেন। যা মোট দুর্ঘটনার ৩১ দশমিক ৪৭ শতাংশ, নিহতের ৩৪ দশমিক ৯০ শতাংশ ও আহতের ১৬ দশমিক ৪১ শতাংশ।

দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, এ মাসের মোট দুর্ঘটনার ৩৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ১৭ দশমিক ৮ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ৪১ দশমিক ৪৮ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়েছে। এছাড়াও সারা দেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, শূন্য দশমিক ৯৫ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে এবং শূন্য দশমিক ৩৪ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংগঠিত হয়েছে।

বিভাগ হিসেবে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে ঢাকায়। এই বিভাগে ১২৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১১৭ জন নিহত ও ২৭০ জন আহত হয়েছেন। আর সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে বরিশালে। সেখানে ৩৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৩ জন নিহত ও ১২৫ জন আহত হয়েছেন।

জানুয়ারি মাসে সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণসমূহ:

১. ট্রাফিক আইনের অপপ্রয়োগ, দুর্বল প্রয়োগ, নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনিয়ম দুর্নীতি ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়া।

২. মোটরসাইকেল, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও তিন চাকার যানের ব্যাপক বৃদ্ধি ও এসব যানবাহন সড়ক মহাসড়কে অবাধে চলাচল।

৩. সড়ক-মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কে বাতি না থাকা। রাতের বেলায় ফক লাইটের অবাধ ব্যবহার।

৪. সড়ক-মহাসড়ক নির্মাণে ত্রুটি, ফিটনেস যানবাহন ও অদক্ষ চালকের হার বেড়ে যাওয়া।

৫. ফুটপাত বেদখল, যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা।

৬. উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাদাঁবাজি।

৭. অদক্ষ চালক, ফিটনেস বিহীন যানবাহন, বেপরোয়াভাবে যানবাহন চালানো।

দুর্ঘটনার প্রতিরোধে সুপারিশ:

১. রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে প্রাথমিক উৎস থেকে সড়ক দুর্ঘটনার পূর্ণাঙ্গ ডাটা ব্যাংক চালু করা।

২. স্মার্ট গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলা, মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের মতো ছোট ছোট যানবাহন আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা।

৩. দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ নেওয়া, ডিজিটাল পদ্ধতিতে যানবাহনের ফিটনেস প্রদান।

৪. রাতের বেলায় বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেল চালকদের রিফ্লেক্টিং ভেস্ট পোশাক পরিধান বাধ্যতামূলক করা।

৫. সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ করা, চালকদের বেতন ও কর্ম-ঘণ্টা সুনিশ্চিত করা।

৬. রাতের বেলায় চলাচলের জন্য জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে পর্যাপ্ত আলোক সজ্জার ব্যবস্থা করা।

৭. ব্লাক স্পট নিরসন করা, সড়ক নিরাপত্তা অডিট করা, স্টার মানের সড়ক করিডোর গড়ে তোলা।

৮. দেশে সড়কে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু ঠেকাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএর চলমান গতানুগতিক কার্যক্রম অডিট করে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা চিহ্নিত করা, প্রাতিষ্ঠানিক অকার্যকারিতা সংস্কার করা।

 

একুশে সংবাদ/ন.প্র/জাহা

 

Link copied!